বাগেরহাটে জনসেবা বিষয়ক গণশুনানী

জনভোগান্তি হলে কাউকে ছাড় নয়- ডিসি

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০১:২৫ এএম, মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ | ৮১৫

বাগেরহাটে সরকারি সেবা বিষয়ক গনশুনানী অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ডিসেম্বর) দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) সহযোগিতায় এই গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে বক্তব্য দেন, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাগেরহাটের উপ-পরিচালক মোঃ শাহিনুজ্জামান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী ঝুমুর বালা, বাগেরহাট জেলা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার সমাদ্দার, জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত কুমার মল্লিক, পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ আকিব উদ্দিন, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সালেহা পারভীন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান সরকার, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রদীপ কুমার বকসি, খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আসিফ উদ্দিন রাখি, বাগেরহাট ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সহ-সভাপতি তানিয়া খাতুন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আঃ সালাম শেখ প্রমুখ।

বাগেরহাট ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি বাবুল সরদারের সঞ্চালনায় গণশুনানিতে অংশগ্রহনকারী বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার নাগরিকরা বাগেরহাট জেলায় বিভিন্ন সরকারি সেবা বিষয়ক ত্রুটি ও বিভিন্ন দপ্তরের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরেন।


বিশেষ করে বাগেরহাট জেলা পরিষদের মালিকানাধীন পুকুরে প্রভাবশালীদের মাছ চাষ এবং সুপেয় পানির জন্য পুকুর পাড়ে বসানো সোলার পিএসএফ নষ্টের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসক বিষয়টি খোজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেষ দেন। হাসপাতালে জরুরী বিভাগে সেবা প্রদানের ভোগান্তি, বিভিন্ন কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত সিজি এবং সিএসজি কমিটির অকার্যকারিতা, প্রসূতি মায়েদের সেবা পেতে ভোগান্তি ও অনাকাঙ্খিত সিজারিয়ান, মানসন্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে জবাবদিহিতা ও মনিটরিংয়ের ঘাটতি, নদী-খাল দখল ও আবাসিক এলাকায় জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকী কলকারখানা স্থাপন, তথ্য অধিকার আইন যথাযথ অনুসরণ না করা, বাল্য বিবাহ রোধে দুর্বলতা, সরকারি বিভিন্ন দপ্তর থেকে প্রদত্ত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির উপকার ভোগী নির্ধারনে ব্যাপক অনিয়ম, টিআর এবং কাবিখা কাজে তদারকীর অভাব ইত্যাদি জনগুরুতাবপূর্ণ বিষয়ে নাগরিকরা প্রশ্ন করেন। এসব প্রশ্নের উত্তরে সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও বিভাগের প্রধানগণ নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন।


জেলা প্রশাসক নাগরিকদের সকল বক্তব্য ও অভিযাগ ধৈর্য্য সহকারে দীর্ঘক্ষণ শোনেন। সেই সাথে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও কার্যকর মনিটরিংয়ের আশ্বাস দেন। জেলা প্রশাসক তাক্ষণিক উপস্থিত সরকারি কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। জনভোগান্তি হলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।


বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, গণশুনানী আসলে নাগরিকদের অভিযোগ শোনার জন্য। এই শুনানীতে যারা আসেন, তারা অভিযোগ প্রতিকারের আশায় আসেন। তাদের কথা শুনলে জেলার সার্বিক সেবার মান ও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন করা যায়। কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের ফলে সচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চিত হয়। এজন্য নিয়মিত গণশুনানী করা হয়ে থেকে। গণশুনানীতে আমরা যেসব অভিযোগ পেয়ে থাকি সেসব অভিযোগ নিস্পত্তি এবং সেবার মান বৃদ্ধির জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় বলে তিনি উল্লেখ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত