জুয়ার আসর রক্ষায় মোংলায় নৌ পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:১১ পিএম, শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৯ | ৫৯২

মোংলার চিলা ইউনিয়নে চলা জুয়ার আসর বন্ধ করতে পারছেন না প্রশাসন। উল্টো জুয়া আসর বন্ধ আর জুয়াড়ীদের আটক করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে পুলিশ। টাকা আত্বসাৎ, টোকেন বানিজ্যসহ নানা অভিযোগ এনে পুলিশের বিরুদ্ধে পালন করা হচ্ছে মানববন্ধনসহ নানা কর্মসুচি। স্থানীয়রা বলছেন, প্রভাবশালীদের কাছে পুলিশ জিম্মি হলে অনিরাপদ হয়ে পড়বে মানুষ।

ক্যাসিনো, জুয়া আর মাদক বিরোধী চলা দেশব্যাপি অভিযানের অংশ হিসেবে গেল সোমবার (১৪ আক্টোবর) মোংলার জয়মনি খাদ্য গুদামের পাশ্বে একটি মাদককারবারীর বাড়ীতে অভিযান চালায় নৌ পুলিশ। এ সময় চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গাজী আকবর হোসেনের ভাইপো ও প্রভাবশালী জহুর গাজীর ভুিগ্নপতিসহ নয় জন কে আটক করে পুলিশ। নৌ পুলিশের ওসি আবুল হোসেন শরীফ জানান, পর দিন মঙ্গলবার ( ১৫ আক্টোবর) ইউপি চেয়াম্যান গাজী আকবর হোসেনে কর্তৃক আসামীদের ছেড়ে দেয়ার সুপারিশ না মেনে প্রেরন করেন আদালতে। এতে তিনি পড়েছেন বিপাকে। প্তি হয়ে চেয়াম্যান তার বিরুদ্ধে টাকা আত্বসাৎ সহ নানা অভিযোগ তোলেন। বৃহঃপতিবার (১৭ অক্টোবর) চিলা ইউনিয়নে পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন পালন করেন চেয়াম্যান গাজী আকবর হোসেন ও ইউপি সদস্য আবদুল হালিমসহ প্রভাবশালীরা। ওসি অভিযোগ করেন, অন্তত ৩০টি জুয়ার আসর বসে চিলা ইউনিয়নে। ওইসব বন্ধ করতে গিয়ে তিনি প্রভাবশালীদের আক্রোশের কবলে পড়েছেন। একই সাথে তিনি দাবি করেন, কিছু ভুয়া কার্ড বানিয়ে সুন্দরবনের দূশকৃর্তকারীদের দিয়ে গাজী আকবর হোসেন তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ দালিখ করেছেন। এ অবস্থায় তিনি (ওসি) খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক ও উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহারের হস্তপে চান।

তবে মোংলা চিলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান গাজী আকবর হোসেন বলেন, নৌ পুলিশের ওসি আবুল হোসেন শরীফ জুয়ার আসরের টাকা আত্বসাৎ করেছেন। একই সাথে স্থানীয় জেলেদের কাছ থেকে নিয়মিত টোকন দিয়ে টাকা আদায় করতেন। তাই ওসি’র বদলী দাবী করে মানববন্ধন করেছেন। কিন্তু সাবেক ইউপি চেয়াম্যান রাসেল অভিযোগ করেন, বর্তমান চেয়াম্যান গাজী আকবর হোসেন আওয়ামীলীগের দলীয় পদ পদবী ব্যবহার করে নানা অনিয়ম করে চলেছেন। তার আত্বীয় স্বজনরা নানা অপকর্ম করে চলেছেন। আর ওইসব অপকর্মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে তাদের বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেন গাজী আকবর হোসেন। অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করা সত্বে স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতা বলেন, এ ইউনিয়নটি সুন্দরবন সংলগ্ন হওয়ায় চেয়ারম্যান আকবর হোসেনের স্বজনরা তার নির্দেশে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মৎস্য আহরন করা, সরকারী খাল টেন্ডার নিয়ে সিডুয়েল মোতাবেক কাজ না করা, এলাকায় জুয়ার আসর বসানো সহ অনেক অপকর্ম করে চলেছেন তিনি। তার আক্রোশের ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে পারছেন না।

অন্য দিকে স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের কর্মকান্ড নিয়ে রাস্তায় মানববন্ধন করলে সমাজে দূর্বিত্তায়ন বেড়ে যায়। মুখোশদারীরা তাদের অপকর্ম দেদারছে চালানোর সুযোগ সৃষ্টি করে। তাই প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিনা অনুমতিতে মানববন্ধন কারীদের আইনের আওতায় আনার দাবী করেন তারা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত