শরণখোলার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলিন

বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারের প্রায় দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি ৮টি গ্রামে প্রবেশ করে আমনের বীজতলা, মাছের ঘের ও ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার রাতে আকষ্মিকভাবে বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে এখন চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের বলেশ্বর নদী সংলগ্ন বগী থেকে গাবতলা আশার আলো মসজিদ পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার পাউবোর বাঁধ সম্পূর্ন নদীতে বিলিন হয়ে গেছে। জোয়ারের পানি এখন ওই ইউনিয়নের ৮টি গ্রামে ওঠানামা করছে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাাত্রা ব্যাহত, আমনের বীজতলা ও মাছের ঘেরসহ ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী।

বগী গ্রামের জলিল খলিফা, রউফ হাওলাদার, মিজানুর রহমান, আ. রাজ্জাক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, জমিতে অনেকে বীজধান ফেলেছে। আবার অনেকে বীজধান ভিজিয়ে রেখেছে। কিন্তু এখন জোয়ারের পানি ওঠানামা করায় বীজতলা তৈরী অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় আমন চাষ নিয়ে তারা শঙ্কায় রয়েছে।

সাউথখালীর তাফালবাড়ী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক আ. মালেক রেজা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, পাউবোর ৩৫/১ পোল্ডারের বাঁধের কাজ মূল অংশে না করে কম ঝুকিপূর্ন এলাকাকে অগ্রাধিকার দেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ ব্যাপারে জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ না নিলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ই্উএনও) লিংকন বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলবেন। শরণখোলার নির্মানাধীন বাঁধের তদারকীর দায়ীত্বে নিয়োজিত সিইআইপির প্রকৌশলী শ্যামল দত্ত বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ভাঙন কবলিত এলাকায় রিং বাঁধ দিয়ে সাময়িকভাবে রক্ষা করা হবে।