প্রতারণার মাধ্যমে টাকা আত্নসাতের লক্ষে আদালতে মামলা

মোল্লাহাট প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:২২ পিএম, রোববার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ | ১৫৫০

টাকা আদায়/আত্নসাতের লক্ষে অভিনব কৌশল হিসেবে এক প্রতারকের বাদীত্বে ব্যাংক হিসাবধারী এক পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় হতবাক ভিকটিম মোল্লাহাট উপজেলার শুড়িগাতী গ্রামের অধিবাসী ও বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য শ্রী বাবুল চন্দ দাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান-ডাচ বাংলা ব্যাংক লিঃ খুলনা ব্রাঞ্চের তার নিজ নামিয় হিসাব বইয়ের স্বাক্ষরিত এক খানা ব্লাঙ্ক চেক গত ১০/০৩/১৮ ইং তারিখে হারিয়ে যায়। খোজা-খুজির পরেও চেক খানা না পাওয়ায় ওই মাসের ২২ তারিখে খুলনা খানজাহান আলী থানায় একটি জিডি করেন, যার নং-৮৭২।

এছাড়া উক্ত জিডির কপি ব্যাংকে জমা দিয়ে উক্ত চেক ষ্টপ করে রাখেন তিনি। এর কিছুদিন পর জনৈক হিমাংশু হালদার মোবাইল ফোনে কিছু টাকা দাবী করেন। কোন আত্নীয়-স্বজন তামাশা করছে এমন ভাবনায় শ্রী-বাবুল চন্দ্র দাস বিষয়টি প্রথমে তেমন আমলে নেয়নি। পরে ওই ব্যাক্তি অকথ্যভাষায় গালি-গালাজসহ হুমকী দিয়ে বলে, তাকে টাকা না দিলে সে বিপদে ফেলবে। শ্রী বাবুল চন্দ্র দাস তাকে প্রতিত্তরে বলেন, দেশে আইন আছে, প্রয়োজনে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন। এরপর আর ওই ব্যাক্তি ফোন দেন নি। নিজের চাকুরী-কর্মব্যাস্ততার কারনে বাবুল চন্দ্র দাস বিষয়টি প্রায় ভুলতে ছিলেন। এভাবে অতি বাহিত হয় প্রায় ছয় মাস। অপরদিকে ওই ব্যাক্তি বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলাধীন খুদাড়ী গ্রামের শান্তি শেখর হালদারের ছেলে হিমাংশু হালদার বাগেরহাট আদালতে পাঁচ লক্ষ টাকার দাবী করে খোয়া যাওয়া চেকের ভিত্তিতে একটি হয়রানীমূলক মমামলা করে বাবুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে। যার পি নং-৭৮/১৯। শ্রী বাবুল চন্দ্র দাস এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্থক্ষেপ কামান করে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এহেন হয়রানী ও টাকা আত্নসাত কৌশলের ঘটনায় প্রয়োজনীয় তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ বিচার দাবী করছি।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ব্যাবস্থাপক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন-তাদের একাউন্ট হোল্ডার শ্রী বাবুল চন্দ্র দাস চেক হারানোর বিষয়ে যথাযথ নিয়মে জানান এবং ব্যাংকের পক্ষ থেকে উক্ত চেক ষ্টপ করে রাখা হয়।

এবিষয়ে মোবাইল ফোনে হিমাংশু হালদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, তিনি তার এক আত্নীয়র জন্যে আমবাড়ী এলাকায় জমি ক্রয়ের জন্য বাবুল চন্দ্র দাসকে টাকা দিয়ে ছিলেন, উক্ত জমি না দেয়ায় তিনি মামলা করেছেন। কোন বায়নাপত্র হয়েছিলো কি-না এমন প্রশ্ন করলে তিনি পরে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে মোবাইল ফোন কেটে দেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত