মোংলা-রামপালকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিবেনা বলেই জনগন নৌকা প্রতিককে বিজয়ী করেছে

মোংলা কর্মী সমাবেশে খুলনা সিটি মেয়র

মাসুদ  রানা, মোংলা

আপডেট : ১০:৩৮ পিএম, শনিবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৪ | ২৮০

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, রামপাল-মোংলাকে কোন সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দিতে চায় না বলেই বাগেরহাট-৩ আসনের সাধারণ মানুষ নৌকা প্রতিককে মনের মধ্যে ধারণ করে বেগম হাবিবুন নাহারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছে। তাই নির্বাচন পরবর্তী সময় এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মোংলা-রামপালের বিভিন্ন অঞ্চলে যে পরিমান সহিংসতা, ভাংচুর, মারধর, লুটপাট ও নারীদের উপর অত্যাচার নির্যাতন হয়েছে, যা জামাত-বিএনপির আমলকেও হারমানিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। মোংলা-রামপালের মানুষ শান্তি প্রিয়, তারা শান্তি চায়, সুন্দরভাবে বসবাস করতে চায়, তাদেরকে সুন্দরভাবে বসবাস করতে দিন না হয় আমাকেই ব্যাবস্থা নিতে হবে। শনিবার (১৩ জানুয়ারী) দুপুরে মোংলা শ্রমিক সংঘ চত্ত্বরে এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আঃ খালেক এ কথা বলেন।


তিনি প্রশাসনের উদ্দোশ্যে আরো বলেন, গত কয়েক বছর ধরে মোংলা সমুদ্র বন্দরে গড়ে ওঠা চোরাকারবারীরা তেল, সার, কয়লা, গম, চাল সহ বিভিন্ন মুল্যবান মালামাল দেশ-বিদেশি জাহাজ থেকে চুরি-ডাকাতি হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। যা আগে কখোনও হয়নী। দ্রুত এসব বন্ধ করুন, না হলে আমি সাংবাদিক সম্মেলন করবো এবং জনসাধারণ নিয়ে রাজনৈতিক আন্দোলন করে এসব বন্ধ করতে বাধ্য করবো। তাই পুলিশকে তার সঠিক দায়িত্ব পালন করতে বলেন তিনি। অনেক হয়েছে, আমার লোক যেন আর মার না খায়, নারীরা যেন অত্যাচারিত না হয়, তাই প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করে সঠিক ব্যাবস্থা নিতে প্রশাসনকে আহবান জানালেন সিটি মেয়র। এর পরেও যদি মোংলা-রামপালে কোন বিশৃংঙ্খলার ঘটনা ঘটে, যারা ঘটাবে তার দায়ভার তাদের নিতে হবে বলে জানান সিটি মেয়র।


গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী এই প্রথম এক কর্মী সমাবেশের আয়োজন করেন মোংলা উপজেলা আ'লীগের নেতৃবৃন্দরা। শনিবার দুপুরে মোংলা বন্দর শ্রমিক কর্মচারী সংঘ চত্ত্বরের এ অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেণ মোংলা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বাবু সুনিল কুমার বিশ্বাস। এতে বক্তব্য রাখেন, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আঃ রউফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বাবু অম্ভরিশ রায়, মোংলা উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হওলাদার, পৌর মেয়র শেখ আঃ রহমান, সাবেক পৌর মেয়র শেখ আঃ সালাম, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ ইস্রাফিল হাওলাদার, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান জসিম, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুন, পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর হোসেন, পৌর শ্রমিক লীগের সভাপতি মোঃ ফিরোজ শাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সজিব খাঁন, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মোয়াজ্জেম হোসেন রানা, যুবলীগ নেতা খান আহাদুজ্জামান ও পৌর যুবলীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা শামিমা ইয়াসমিন জুই সহ আরো অনেকে নির্বাচন পরবর্তী মোংলা-রামপালের নেতাকর্মীদের উপর সহিংসতার বর্ণনা দিয়ে বিভিন্ন বক্তব্য রাখেন।


১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসন আওয়ামী তথা তালুকদার আঃ খালেক ও বেগম হাবিবুন নাহারের দখলে রয়েছে। এখনও রামপাল-মোংলার মানুষ তাকে এবং স্ত্রীকে ভালোবাসেন বলেই চতুর্থবারের মতো তাকে নির্বাচিত করেছে। তাই এসকল মানুষের ঋন ‘রক্ত দিয়েও শোধ হবেনা’ বলে সমাবেশে আসা নেতা কর্মিদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আজ রবিবার থেকে জাতীয় সংসদ না বসা পর্যন্ত বেগম হাবিবুন নাহার এমপি মোংলা-রামপালে অবস্থান করবেণ, তাই সকলে মিলে তাকে দেখে রাখার আহবান জানান সিটি মেয়র।


বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে নির্বাচন পরবর্তী ছাড়াও বিভিন্ন এলাকার মাদক, চোরা কারবারী, পাচারকারী বন্ধ সহ রাজনৈনিক বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়েও আলোচনা হয় এ কর্মী সমাবেশে। এখানে জেলা ও উপজেলা আ’লীগ এর অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি সহ নৌকা প্রতিকের কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত