ইলেক্ট্রনিক্স শো-রুমের মূল্যবান পণ্য লুট ও চেক চুরির অভিযোগে

বাগেরহাটে শোরুম ম্যানেজারের বিরুদ্ধে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০২:৪৫ এএম, শুক্রবার, ৩ মার্চ ২০২৩ | ৪৫২

প্রতিকী ছবি

শরণখোলায় মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ও দোকান মালিকের চেক চুরির অভিযোগ উঠেছে রাজিব সরদার (৩৫) নামের এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। দূর সম্পর্কের আত্মীয় হওয়ায় এবং মালিক অন্য কাজে দোকানের বাইরে থাকায় চার বছরে প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকার মালামাল আত্মসাত করেছেন রাজিব। এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী মামুন হাসান তালুকদার বাগেরহাট জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়কে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত রাজিব সরদার।


দোকান মালিক মামুন হাসান তালুকদার শরণখোলা উপজেলার উত্তর কদমতলা এলাকার বাসিন্দা এবং উপজেলার রায়েন্দা বাজার এলাকার ভাই ভাই ইলেক্ট্রনিক্স শো-রুমের স্বত্তাধীকারি। রাজিব সরদার মোরেলগঞ্জ উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী এলাকার মৃত মোশারেফ সরদারের ছেলে। রাজিব দোকান মালিক মামুনের দূর সম্পর্কের আত্মীয় হন।


দোকান মালিক মামুন হাসান তালুকদার বলেন, স্যামস্যাংসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের ডিলারশিপ নিয়ে টিভি, ফ্রিজসহ নানা ধরণের পণ্য দীর্ঘদিন যাবত বিক্রি করে আসছি। চার বছর আগে রাজিব সরদারকে আমার শো-রুমে ম্যানেজার হিসেবে নিয়োগ করি। ২০২২ সালের ১লা জুন থেকে ব্যবসায়িক কাজে আমি ঢাকায় অবস্থান করা শুরু করি। এই সময়ে শরণখোলা‘র শো-রুমের সকল দায়িত্ব রাজিব সরদার পালন করতেন। এই সুযোগে রাজিব সরদার বিভিন্ন সময় আমার দোকানের মূল্যবান পণ্য চুরি করে নিয়েছে। চার বছরে ১০৫টি যমুনা ফ্রিজ, ২৮টি ওয়ালটন ফ্রিজ, ১৮টি ভিশন ফ্রিজ, ২০টি স্যামসাং ফ্রিজ, ১২টি ভিশন এলইডি টিভি, ৬টি ওয়ালটন টিভি চুরি করেছে। এছাড়া নগদ ১০ লক্ষ টাকা সুকৌশলে আমার প্রতিষ্ঠান থেকে নিয়েছে।


সর্বশেষ একই বছর ডিসেম্বর মাসের দিকে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক লিঃ, জনতা ব্যাংক লিঃ এবং সোনালী ব্যাংক লিঃ শরণখোলা শাখার চারটি চেক বই চুরি করে চলে যায়। যেখানে বেশ কয়েকটি অলিখিত চেকের পাতায় আমার স্বাক্ষর করা ছিল। বিষয়টি বুঝতে পেরে রাজিব সরদারকে ফোন করলে সে দোকানে আসবে না বলে জানিয়ে দেয়। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে শালীস মীমাংসার আায়োজন করা হয়। তখন কোন টাকা এবং চেক ফেরত দেবেনা আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যায়। যাতে আত্মসাত কৃত মালামাল, নগদ টাকা এবং চেক বই গুলো ফেরত পেতে পারি সে জন্য প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।


মামুন হাসান তালুকদারের অভিযোগ অস্বীকার করে রাজিব সরদার বলেন, মামুন হাসান তালুকদার চেক দিয়ে আমার কাছ থেকে বেশকিছু টাকা নিয়েছিল। ওই টাকা প্রদানে বিলম্ব করলে, আমি তাকে উকিল নোটিশ করি। সেই নোটিশের কাউন্টার প্রদানের জন্য তিনি আমার নামে মামলা করেছেন।


মামুন হাসান তালুকদারের আইনজীবী মোঃ এনামুল হোসেন বলেন, আমাদের অভিযোগ আমলে নিয়ে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আশাকরি আমরা ন্যায় বিচার পাব।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত