ছাত্রকে বেত্রাঘাত: শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ

রামপাল প্রতিনিধি

আপডেট : ০৮:১২ পিএম, শনিবার, ১৯ নভেম্বর ২০২২ | ৩৮৬

প্রতিকী ছবি

রামপাল উপজেলার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী পেটানোর অভিযোগের ২৪ দিন পরও নেওয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। এ ব্যপারে ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে রামপাল উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তা বরাবর একটি অভিযোগ করেছেন।



অভিযোগে জানা গেছে, ঘটনার দিন গত ২০ অক্টোবর উপজেলার উজলকুড় ইউনিয়নের ৬৬ নং পশ্চিম গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনির শারিরিক প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী বিদ্যালয় সংলগ্ন বাসিন্দা আনসার ভিডিপি সদস্য মো. রিয়াজুল ইসলাম (রাজু) এর পুত্র তাওসিন হাওলাদার রিহান (৯) শ্রেনি কক্ষে অংক না পারায় বিদ্যালয়ের সহকারি নারী শিক্ষক মিনারা খাতুন তাকে বেত দিয়ে পেটায়। এতে তার ঘাড়ে কালো দাগ হয়ে যায়।



এ ঘটনার পর ওই বিদ্যালয়ের এসএমসির সভাপতি গৌরাঙ্গ কুমার পালকে এ বিষয় জানালে তিনি ঘটনার ৬ দিন পর গত ২৬ অক্টোবর সকাল ৯ টায় এসএমসির সদস্যদের সমন্বয়ে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক সভা আহবান করেন। ওই সভায় সভাপতি গৌরাঙ্গ কুমার পাল অভিযুক্ত শিক্ষক মিনারা খাতুনকে ডেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বললে তিনি ক্ষমা চান।

প্রধান শিক্ষক সখিনা বেগম বলেন এসএমসির সভায় সভাপতি তাকে এঘটনার জন্য সরি বলতে বলেন। মিনারা সরি বললে ঘটনাটি এখানেই নিষ্পত্তি করেন সভাপতি।


এ ব্যপারে অভিযুক্ত মিনারা খাতুনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ক্লাসে অংক না পারায় আমি তার ঘাড়ে দুটি এবং পেছনে একটি বাড়ি দিয়েছি। কমিটির সভাপতি বসে মনে হয় এটার সমাধান করে দিয়েছেন। শ্রেনি কক্ষে বেতের ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকলেও কেন তিনি বেত ব্যবহার করলেন এ বিষয় জানতে চাইলে তিনি উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। এ ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক সখিনা বেগম ওই শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে খোঁজ খবর নিলেও তিনি কোন খোঁজ খবর নিয়েছেন কিনা প্রশ্ন করা হলে বলেন, আমি দেখতে যাইনি। উল্টো ওই ছাত্রের মায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, সে আমাকে মোবাইল ফোনে শক্ত কথা বলেছে।



এ ব্যপারে এসএমসির সভাপতি গৌরাঙ্গ কুমার পালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৬ অক্টোবর এসএমসির সদস্যদের সাথে মিটিং করেছি। ওই মিটিংএ মিনারাকে ডেকে ওই ছাত্রের অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চাইতে বললে সে ক্ষমা চাওয়ায় বিষয়টি মিটে যায়। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রের কোন খোঁজ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যাওয়ার সময় পায়নি।


উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি সপ্তাহ খানেক আগে ওই স্কুল ভিজিট করেছি। কিন্ত এ বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। কেন জানানো হলো না তা বুঝতে পারছিনা। তারপরও আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

ওই ক্লাষ্টারের দায়িত্বে থাকা সহকারি শিক্ষা অফিসার ইদ্রিস আলী বলেন, আমি যতদুর জানি স্থানীয় ভাবে বসে এটা মিমাংশা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত