চিতলমারীতে দুর্গা মন্দিরের ৭টি মূর্তি ভাংচুর

চিতলমারীতে একটি মন্দিরের ৭ টি মূর্তি ভাংচুর করেছে দুর্র্বৃত্তরা। এ খবর পেয়ে জেলা’র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহাফুজ আবজাল ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ রিপোর্ট লেখা কালিন থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিল। এ ঘটনায় হিন্দু পরিষদের নেতৃবৃন্দ তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরবড়বাড়িয়া পুর্বপাড়া (হরি মন্দির সংলগ্ন) সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরে গত শুক্রবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে দুর্গা, লক্ষ্মী, স্বরস্বতী, কার্তিক, গনেশ ও মহিষাসুরসহ ৭ টি মুর্তি ভেঙে ফেলে রেখে যায়। সকালে স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি ঘটনার সাথে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।

চরবড়বাড়িয়া পুর্বপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের সভাপতি নৃপেন বৈদ্য ও সাধারণ সম্পাদক উত্তম মন্ডল জানান, শুক্রবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়ে মূর্তিগুলোর মাথা ভেঙে রাস্তার উপর থেকে ফেলে রেখে যায়। সকালে দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পূর্ব বিরোধের কারণে এ ন্যাক্কারজনক কাজ ঘটানো হয়েছে বলে তারা দাবি করেন। নবমী পূজার দিন পূজা দেখাকে কেন্দ্র করে বিরোধের কারণে শুক্রবার সন্ধ্যায় চরবড়বাড়িয়া পুর্বপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক অজিত ম-ল (৩২) কে কতিপয় সন্ত্রাসীরা বেদম মারপিট করে। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই একই রাতে মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে বলে তারা জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কপিল ম-ল ও চিতলমারী উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অলিপ সাহা কালা ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, যে কোন প্রকারে দোষিদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

বড়বাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ সরদার ঘটনার নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতরা প্রভাবশালী হলেও তাদের বিচার করতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া উচিৎ হবে না।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে বাগেরহাট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মাহাফুজ আবজাল ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, এর সাথে যারা জড়িত আছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।