ডিডি’র পূর্ণ অর্থ জানতে চাওয়ায় প্রধান শিক্ষকের মারধরে ছাত্র আহত
শরণখোলায় প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের ক্লাশ বর্জন বিক্ষোভ
আপডেট : ১০:৫৯ পিএম, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০১৭ | ৬৭৮
শরণখোলার আমড়াগাছিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে মেরে গুরুতর আহত করেছেন। ইমন হোসেন (১৪) নামের ওই শিক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। গত সোমবার (১৬ অক্টোবর) ক্লাশ চলাকালে এঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থী বিদ্যালয় সংলগ্ন আমড়াগাছিয়া গ্রামের আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ফার্স্ট বয় (প্রথম স্থান অধিকারী)।
এদিকে, ঘটনার প্রতিবাদে ও অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করে মঙ্গলবার ক্লাশ বর্জন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা বিক্ষোভে বাধা দিলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এতে রায়হান উদ্দিন নামের নবম শ্রেণির এক ছাত্র ও জাকির হোসেন নামের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য আহত হন বলে উভয় পক্ষ দাবি করে। আহত রায়হানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিচারের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচী প্রত্যাহার করে নেয়।
আহত ছাত্রের বাবা আমিনুল ইসলাম ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, উপজেলা সদর রায়েন্দা পাইলট হাইস্কুল জাতীয়করণের তালিকাভুক্ত হওয়ায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক (ডিডি) ১৬ অক্টোবর ওই বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন। এখবর জানতে পেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্র ইমন প্রধান শিক্ষক সরোয়ার হোসেনের কাছে ডিডি’র পূর্ণ অর্থ জানতে চায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তার উত্তর না দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থীকে চড়, থাপ্পড় ও কিল ঘুষি মারেন। এতে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত লাগে। পরে সে বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওইদিন সন্ধ্যায় তাতে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সরোয়ার হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ইমন আমার সাথে বেয়াদবী করেছে। সে কারণে তাকে সামান্য চড়থাপ্পড় দেয়া হয়েছিলো।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ মো. শহীদ হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সামান্য ঘটনায় বাইরের একটি মহল পরিবেশ অশান্ত করছে। বিষয়টি ম্যানেজিং কমিটি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বসে সমাধান করা হবে।
ধানসাগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মইনুল হোসেন টিপু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, প্রধান শিক্ষকের ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল জলিল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ছাত্রদের বিক্ষোভের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এব্যাপারে কোনো পক্ষই থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি।