মোরেলগঞ্জে নিখোঁজ দেখিয়ে বয়স্ক ভাতা অন্যের নামে

মোরেলগঞ্জ সংবাদদাতা

আপডেট : ১২:১৭ পিএম, সোমবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৭ | ২০৯২

মঞ্জু রানীকে

মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের বয়স্ক ভাতাভোগী মঞ্জু রানীকে (৭৮)কে নিখোঁজ দেখিয়ে অন্যের নামে ভাতার কার্ড প্রদান করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঞ্জু রানী মন্ডল তার ভাতার কার্ড ফিরে পেতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ইউনিয়নের হোগলপাতি গ্রামের মৃত. গৌরঙ্গ চন্দ্র মন্ডলের স্ত্রী মঞ্জু রানী মন্ডল ২০০৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে তালিকাভুক্ত হয়ে বয়স্ক ভাতা টাকা উত্তোলন করে আসছিলেন। গত ৩০ জুন তিনি ভাতার টাকা উত্তোলন করতে ব্যাংকে গিয়ে জানতে পারেন বয়স্ক ভাতার তালিকায় তার নাম নেই। তার স্থলে একই ইউনিয়নের উমাজুরি গ্রামের মৃত. নাজেম আলীর স্ত্রী জরিনা বেগম এর নাম রয়েছে।

জরিনা বেগম সে নামে ৩ হাজার টাকাও উত্তোলন করেছে। দীর্ঘদিন নিখোঁজ থাকায় তার বইটি বাতিল হয়ে গেছে বলে তিনি জানতে পারেন। অথচ মঞ্জু রানী নিখোঁজ হয়নি এবং তিনি বাড়িতেই ছিলেন।


মঞ্জু রানী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, তিনি তার নিজের বাড়িতে থাকলেও একই ইউনিয়নের দুই নম্বর ইউপি সদস্য আলম মৃধা অসৎ উদ্দেশ্যে তাকে নিখোঁজ দেখিয়ে মোরেলগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেন (জিডিনং-৫৯১) এবং তার স্থলে নিজ ওয়ার্ডের জরিনা বেগমের নাম অন্তর্ভূক্ত করেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আলম মৃধা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া প্রত্যায়নপত্রের ওপর ভিত্তি করেই তিনি নিখোঁজের ডাইরী করেন। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম বাচ্চু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ভুলবশতঃ এমনটি হয়েছে। তবে প্রকৃত ভাতাভোগী মঞ্জু রানীর অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করছি। দ্রুত সময়ের মধ্যে রেজুলেশন করে তার নাম বহাল রাখা হবে।

উপজেলা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, মঞ্জু রানীকে তার বইটি ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত