খাবার ও উপকরণ নিম্নমানের

শরণখোলায় গ্রাম আদালতের প্রশিক্ষণে অনিয়ম

শরণখোলা সংবাদদাতা

আপডেট : ০২:৪৮ পিএম, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ১৬৩৪

গ্রাম আদালত

বাগেরহাটের শরণখোলায় গ্রাম আদালত বিষয়ক প্রশিক্ষণে আয়োজক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিম্নমানের খাবার ও প্রশিমক্ষণ উপকরণ সরবরাহের অভিযোগ তুলেছেন প্রশিক্ষণার্থীরা। গত সোমবার (৯ অক্টোবর) থেকে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের লক্ষ্যে ইউপি সদস্যদের নিয়ে তিন দিনের ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়। প্রশিক্ষণে বরাদ্দের তুলনায় নিম্নমানের খাবার ও উপকরণ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও ইউএনডিপির অর্থায়নে শরণখোলা উপজেলা প্রশাসন তিন দিনের এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করে। উপজেলার ১নং ধানসাগর ও ২নং খোন্তাকাটা এ দুটি ইউনিয়নের ২২ জন ইউপি সদস্য প্রশিক্ষণে অংশগ্রহন করেন।

প্রশিক্ষাণার্থী ইউপি সদস্যদের অভিযোগে জানা যায়, দুপুরে খাবার ও টিফিন মিলে প্রত্যেকের জন্য ৩০০ টাকার মতো বরাদ্দ রয়েছে। সকাল ১১টার দিকে টিফিন দেয়া হয়েছে শুধু একটি সিংগারা। আর দুপুরের খাবার মেন্যুতে ছিল একটি বয়লার মুরগীর ডিম, পলিথিনে মোড়ানো এক পিচ ব্রয়লার মাংস সাথে সাদা ভাত। যাতে অতিরিক্ত হলেও খরচ হয়েছে ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকা। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত একটানা প্রশিক্ষণ শেষে দুপুরের খাবারের এমন অবস্থা দেখে প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া সবাই ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। একপর্যায় তারা মান নিয়ে প্রশ্ন তুললে প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও খাবার পরিবেশনের দায়িত্বে থাকা ইউএনও’র কার্ক নূরুল ইসলাম নূরু ও ইউএনডিপির প্রতিনিধিদের সাথে তুমুল হট্টগোল এবং কথা কাটাকাটি হয়। তারা প্রথমদিনের দুপুরের ওই খাবার বর্জন করেন।

তাদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্টরা খাবারের টাকা বাঁচিয়ে তা আত্মসাতের চেষ্টা করছেন। তাছাড়া, প্রশিক্ষণে যে উপকরণ দেয়া হয়েছে তাও নিম্নমানের। প্রশিক্ষণার্থীরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ গ্রাম আদালতের শরণখোলা উপজেলা সমন্বয়কারী মো. আরিফুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, খাবারে কত টাকা বরাদ্দ তা তার জানা নেই। অর্থনৈতিক বিষয়টি তার এখতিয়ারের বাইরে।

শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লিংকন বিশ্বাস বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, প্রশিক্ষণ পরিচালনার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত লোক রয়েছে। তিনিও একটি প্রশিক্ষণের কাজে ঢাকায় রয়েছেন। তবে কোনো প্রকার অনিয়ম হলে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

তবে, প্রশিক্ষণ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ইউএনও’র কার্ক মো. নুরুল ইসলাম নুরু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, প্রশিক্ষণে খাবার ও উপকরণে যে টাকা বরাদ্দ রয়েছে সেই অনুপাতে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম করা হয়নি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত