শেষ সময়ে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়

চিতলমারীতে জমেছে ঈদের বাজার॥বেড়েছে কসমেটিক্সের চাহিদা

এস এস সাগর, চিতলমারী

আপডেট : ০৩:৫২ পিএম, মঙ্গলবার, ১২ জুন ২০১৮ | ১৯৪৪

তরুন-তরুণীদের চোখ নিত্য নতুন পোশাক আর রং বে-রংয়ের ডিজাইনের ফ্যাশনের দিকে। ছেলেদের পাঞ্জাবি ও মেয়েদের থ্রিপিস-এ তারুণ্য খোঁজে বৈচিত্র্য এবং নতুনত্ব। তারুণ্যের এই ভাবনা মাথায় রেখে এবার ঈদে ফ্যাশন হাউজ গুলি তৈরি করছে নানা ধরনের পোশাক। আগের তুলনায় বেড়েছে কসমেটিক্সের চাহিদা।

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার সবচেয়ে বড় পোশাকের বাজার উপজেলা সদরে অবস্থিত। কাপড় পট্রি, শেরে-বাংলা সুপার মার্কেট ও মানিক মিয়া সুপার মার্কেট, এখানে রয়েছে ছোট বড় প্রায় দুই শতাধিক শাড়ি-লুঙ্গি ও ছেলে মেয়েদের নিত্য নতুন বাহারি রংয়ের পোশাকের দোকান। আর এই দোকান গুলোতে মূলক্রেতা তরুন-তরুণীরা।

মঙ্গলবার (১২ জুন} বিকেলে এসব দোকান গুলো ঘুরে জানা যায়, ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। তরুণ তরুণীদের পদচারনায় মুখর গোটা বিপণী বিতান গুলি। এসব পোশাকের দোকানে ভিড় করে আছে উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়েরা নতুন একটা পোশাক দেখা গেলে সেই দোকানে উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। এখানকার পোশাক বিক্রেতারা জানান, ফ্যাশন নিত্য পরিবর্তনশীল। ক্রেতারা পরিবর্তন চায়। এবার দেশীয় পন্যকে প্রাধান্য এবং পাশ্চাত্যের মিশেল ঘটিয়ে তৈরি করা হচ্ছে নানা ডিজাইনের পোশাক। তারকশ্বর বস্ত্রলয়ের মালিক টিটন সাহা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, শেষ সময়ে ঈদের বাজার জমে উঠেছে। আমরা ঈদ উপলক্ষে ছেলে-মেয়েদের জন্য নিত্যনতুন ডিজাইনের পোশাক সংগ্রহে রেখেছি। আমাদের সব পোশাকের দাম মধ্যবিত্তদের নাগালে।

তিনি আরও জানান, এবার ঈদে শাড়ি, থ্রিপিস, তরুণীদের চাহিদার প্রথম সারিতে। আছে ভারতীয় পোশাক এসব পোশাকের মধ্যে প্রচী, মীরা, আয়েশা টাকিয়া, লেহেঙ্গা, রেডিমেট সেলাই ছাড়া, সেলাইসহ থ্রিপিচ অন্যতম। ছেলেদের পোশাকের মধ্যে বেশী বিক্রী হচ্ছে সর্ট-পাঞ্জাবি, সেমি লং পাঞ্জাবি। এসবের মধ্যে রয়েছে এমব্রয়ডারি করা পাঞ্জাবি ,হাতের কাজ করা কারচুপি ও প্রিন্টের পাঞ্জাবি।

কাপুড়িয়াপট্টির শিউলী সুপার মার্কেটের মা কথ স্টোরের মালিক অশোক সাহা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ঈদ উপলক্ষে আমরা মহিলাদের রুচি সম্মত আধুনিক পোশাক এনেছি, বেচা বিক্রি এখন ভালোই, তাছাড়া দাম ও সাধ্যের মধ্যে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত