শহরে বিক্ষোভ সমাবেশ 

১১ দফার দাবীতে দুর্বার আন্দোলনের ডাক নৌ শ্রমিকদের

মাসুদ রানা, মোংলা

আপডেট : ০৬:৪০ পিএম, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ | ২০৯

নৌযান শ্রমিকদের নিরাপত্তা, ভারতগামী শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস, নৌ-পথে সন্ত্রাস, চাদবাজী, ডাকাতি-ছিনতাই ও পুলিশী হয়রানী বন্ধ সহ ১১ দফা দাবীতে মোংলায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন নৌযান শ্রমিকেরা। শুক্রবার (১ মার্চ) দুপু ১টার দিকে পৌর শহরের শ্রমকল্যাণ সড়কের বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশনের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে বের হয় দাবী আদায়ের এ বিক্ষোভ মিছিল। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে পুনরায় অফিসের সামনে এসে শেষ হয।
এ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ আলম ভুইয়া, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী আষিকুর আলম পোটল, যুগ্ন সাঃ সম্পাদক সৈয়দ শাহদাৎ হোসেন মাস্টার, ঢাকা বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আজিজুল হক মাস্টার ও খুলনা বিভাগীয় কমিটির সাঃ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম বাহার ও মাইনুল হোসেন মিন্টু সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, মালিকপ ও সরকার আগামী ৪ মার্চের মধ্যে তাদের ১১ দফা দাবী মেনে না নিলে ওইদিন মধ্যরাত (১২টা ১মিনিট) থেকেই সারাদেশে নৌযান শ্রমিকেরা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন শুরু করবে নৌযান শ্রমিকরা। তারা আরো বলেন, সারাদেশে সাড়ে তিন হাজার নৌযানে প্রায় ৪ লাখের অধিক নৌযান শ্রমিক রয়েছেন। আমাদের এ দাবী মানা না হলে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ব্যানারে সারাদেশে লাগাতার কর্মবিরতি পালন করা হবে।
দাবীর মধ্যে রয়েছে, শ্রমিকদের নিরাপত্তা, মালিক সমিতি এক প্লাটফর্মে এনে সকল বন্দরের পন্য পরিবহন, মালিক পক্ষের সাথে চুক্তিভিক্তিক অমীমাংশিত দাবীগুলো পুনরায় চুক্তি করা, চট্রগ্রাম বন্দরে নিরাপদে জাহাজ রাখার জন্য সঙ্খ নদীকে প্রোতাশ্রয় উপযোগী করা, চট্রগ্রাম বন্দরে নাবিকদের নিরাপদে উঠা-নামার জন্য ৫টি ঘাটকে ইজারা মুক্ত করা, প্রতি কোর্সের পরিক্ষায় মালিকদের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করা, রাত্রিকালীন চলাচলের জন্য নিশেধাজ্ঞা শিথিল করা সহ ১১ দফা দাবী আদায়ের মালিকপকে আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে। দাবী আদায়ের এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে দেশের বিভিন্ন স্থানের ৫-৬ শতাধিক নৌযান শ্রমিক অংশ নেয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শাহ আলম ভুইয়া জানায়, দেশের সব প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের সরকারী আইন আছে, তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাজ চলছে কিন্ত এক মাত্র নৌযান শ্রমিকরা অবহেলিত। তাদের প্রতি সরকারী আইন আছে কিন্ত তাদের দাবী-দায়ার ক্ষেত্র সরকার বা মালিক পক্ষের কোন উদ্দ্যোগ নাই। নয্যদাবী স্বীকার করে কিন্ত বাস্তবায়ন করেনা। তাই এর আগে বহুবার দাবীর কথা বলেছি, তাদের সময়ও দিয়েছি। প্রতিবারই কাল ক্ষেপন করছে সরকার সহ মালিক পক্ষ। এবার আমাদের ১১দফা নয্যদাবী না মানলে আগামী ৪ মার্চ রাত ১২টা ১মিনিট থেকে সারাদেশ ব্যাপি যে যে অবস্থানে থাকবে সেই অবস্থান থেকে কর্মবিরতী পালন করবে এটা কেন্দ্রীয় ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যতক্ষন পর্যন্ত আমাদের দাবী মানা না হবে ততদিন এ কর্মবিরতী চলবে বলেও জানায় কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত