সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মহিষের মৃত্যু

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৯:৩২ পিএম, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ | ২৮৬

প্রতিকী ছবি

পূর্ব সুন্দরবনে বাঘের আক্রমণে মহিষের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকেলে ধানসাগর স্টেশনের মুর্তির খাল এলাকায় ঘটে এই ঘটনাটি। মহিষটি বাড়িতে ফিরে না আসায় খুঁজতে গিয়ে বনের মধ্যে প্রায় অর্ধেকটা খাওয়া মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন মহিষের মালিক। বাঘের আক্রমণে মৃত মহিষটি বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের বনসংলগ্ন পশ্চিম রাজাপুর গ্রামের শামছু হাওলাদারের বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে ৫টার দিকে এতথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেন তালুকদার।

এর আগে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে ধানসাগর স্টেশনের তুলাতলা খালে গোপনে মাছ ধরতে গিয়ে বাঘের আক্রমণে মারা যান একই গ্রামের জেলে শিপার হাওলাদার (২২)। এর মাসখানেক আগে ওই গ্রামের সোবাহান পহলানের একটি মহিষ বনে ঘাস খাওয়ার সময় বাঘের আক্রমণে মারা যায় বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ইউপি সদস্য মো. কামাল হোসেন তালুকদার বলেন, বনের পাশের বসবাসকারী কয়েকটি পরিবার তাদের মহিষগুলো সকালে বনে ছেড়ে দেয়। আবার বিকালে ফিরিয়ে আনেন। সোমবার বিকেলে শামছু হাওলাদার তার মহিষ খুঁজতে গিয়ে বনের মধ্যে অর্ধেকটা খাওয়া অবস্থায় দেখতে পান। কিন্তু তিনি বিষয়টি রাখলেও পরে তা জানাজনি হয়ে যায়।

ইউপি সদস্য কামাল তালুকদার জানান, বনে যারা মহিষ চরাণ তাদের মধ্যে সামছু হাওলাদারের ৮টি, জাহাঙ্গীর তালুকদারের ৪টি, মুসা হাওলাদারের ৬টি এবং সোবাহান পহলানের ১০টি মহিষ রয়েছে। এরা প্রতিদিন তাদের মহিষ বনে ঘাস খাওয়াতে পাঠান। তাদেরকে নিষেধ করলেও শোনেন না। তাছাড়া বনবিভাগের উদাসীনতার কারণে বছরের পর বছর ধরে এই অবৈধ কাজটি করছেন তারা।

ইউপি সদস্য কামাল তালুকদার আরো জানান, বনবিভাগের উদাসীনতার কারণে বনে অবাধে মহিষ-গরু চারানোর সুযোগ পাচ্ছেন বনের পাশের বাসিন্দার। নজরদারি না থাকায় যে কেউ অবৈধভাবে বনে ঢুকে মাছ ধরছে। বনবিভাগকে এব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

বাঘের আক্রমণে মহিষের মৃত্যু বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে পূর্ব সুন্দরবনের ধানসাগর স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, গত ১ অক্টোবর বন থেকে বাঘের আক্রমণে নিহত জেল শিপার হাওলাদারের মাথা উদ্ধারের পর সকলকে সতর্ক করা হয়েছে। অবৈধভাবে বনে প্রবেশ এবং গবাধি পশু বনে না পাঠানোর জন্য পরেরদিন ২ অক্টোবর বনের পাশের প্রত্যেকের বাড়ি বাড়ি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশে উল্লেখিত সময়ের পর কেউ এধরণের কাজ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত