স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে দক্ষিণে বইছে খুশির বন্যা, শরণখোলায় মিষ্টি বিতরণ

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ১১:৩৬ পিএম, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২ | ৩৮১

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধনে দক্ষিণে বইছে আনন্দের বন্যা। এই আনন্দ থেকে পিছিয়ে নেই বঙ্গোপসাগর উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলাও। এখানে নানা আয়োজনে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উৎসব পালিত হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন থেকে জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে খুশির মিষ্টি। এছাড়া বড় পর্দায় দেখানো হয়েছে উদ্বোধন অনুষ্ঠান। শরণখোলা থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও আনন্দ শোভাযাত্রা করা হয়েছে।


শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নূর-ই আলম সিদ্দিকী তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, পদ্মা সেতু এতোদিন স্বপ্ন ছিল। কিন্তু এখন তা বাস্তবে পরিনত হয়েছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার সাহসিকতায় এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য আশির্বাদ হয়ে দেখা দিয়েছে।

শরণখোলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ইসমাইল হোসে লিটন বলেন, পদ্মা সেতুর কারণে ঢাকা থেকে শরণখোলা আসতে প্রায় চার ঘন্টা সময় সাশ্রয় হবে। বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে পর্যটন শিল্পেরও উন্নয়ন ঘটবে। সরাসরি দূর পাল্লার বাস চলে যাবে একেবারে সুন্দরবনের কাছে। এর ফলে শরণখোলাই হবে সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার।

উপজেলা শহর রায়েন্দা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শহিদদুল ইসলাম ও সরোয়ার হোসেন বলেন, ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীক পণ্য কিনে নদী পথে ঝুঁকি নিয়ে আসতে হতো। কোটি কোটি টাকা মালামাল নদীতে রেখে উৎকণ্ঠায় থাকতাম। পদ্মা সেতু হওয়ায় আমরা চিন্তামুক্ত হলাম। এখন সড়ক পথে খুব সহজেই মালামাল আনতে পারবো। সময়ও বেঁচে যাবে। অনেক উপকৃত হবে দক্ষিণাঞ্চলের ব্যবসায়ীরা।

দূর পাল্লার পরিবহন পরিচালক মো. গুলজার হোসেন, আবু তালেব, মনির জমাদ্দার বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধন হওয়ায় পরিবহন সেক্টরের দুর্দশা ঘুচেছে। আগে ফেরির অপেক্ষায় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতো। ঢাকা থেকে শরণখোলা আসতে ৭-৮ ঘন্টা সময় লাগতো। কিন্তু এখন মাত্র সাড়ে তিন থেকে চার ঘন্টা আসা যাবে। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে পরিবহন পরিচালকদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত