পানগুছির অব্যাহত ভাঙ্গনে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি

মেহেদী হাসান লিপন,মোরেলগঞ্জ

আপডেট : ০৭:২৭ পিএম, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২ | ৪০৭

মোরেলগঞ্জের পানগুছি নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে দুই পাড়ের ৯টি ইউনিয়নে ২০টি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি, বসতবাড়ি, কাঁচাপাকা রাস্তাঘাট নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।


ব্রিটিশ শাসন আমলে রবার্ট মোরেল এর নামে প্রতিষ্ঠিত মোরেলগঞ্জ বন্দর সহ ৯ ইউনিয়ন ৮০ দশক থেকে পানগুছি নদীর ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। নদীর তীরবর্তী গ্রামের শত শত বাসিন্দারা তাদের সর্বস্ব হারিয়ে চলে যাচ্ছে বিকল্প কর্মসংস্থানের তাগিদে বিভিন্ন উপজেলা ও শহরে। আবার অনেকেই অন্যের জমিতে আশ্রয়ে রয়েছে। বসবাস করছে ভেড়িবাঁধের পাশে ও ঝুঁকিপূর্ন স্থানে। প্রতিবছর এই প্রকৃতিক বিপর্যয় হরণ করে নিচ্ছে জমির উর্বরতা। লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে ৪৪ হাজার ৪শ’ ৮০ হেক্টর জমির মধ্যে আবাদ হচ্ছে মাত্র ২৮ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে। উৎপাদনতা কমে গিয়ে অনাবাদি পতিত জমি সৃষ্টি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার আকাশ বৈরাগী বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, এ উপকূলীয় মানুষের ফসলী জমিতে একাধিক ফসল উৎপাদন করতে হলে লবণাক্ততা কাটিয়ে এক ফসলী জমিগুলোকে বিকল্প পদ্ধতিতে চাষাবাদ করতে হবে। জোয়ার ভাটা পানিবাহিত স্থানে স্থায়ী ভেরিবাধ পলিপড়ে ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলোকে পুনঃখনন,শীত মৌসুমে লবণাক্ত খালগুলোতে বাঁধ দিলে ফসলসহ একাধিক ফসল ফলানো সম্ভব।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো. মনিরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, এ অঞ্চলে সুপেয় পানি ব্যবহারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা অনুযায়ী লবণাক্ততার মাত্রা দূর করার লক্ষে বৃষ্টির পানি সংরক্ষনে পানি সরবরাহ প্রকল্প ইতোমধ্যে একনেকে পাশ হয়েছে। উপকূলীয় ১০টি জেলায় ২২২ টি ইউনিয়নে ১ লাখ আর ডব্লিউ এইচ পানির ট্যাংকি সরবরাহ করার পরিকল্পনা রয়েছে।


উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাহাঙ্গীর আলম বাগেরহাট টুয়েন্টিফোরকে বলেন, এ উপজেলার ফসলী জমি বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে ৩ ফসলী জমি লজিক প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ৪টি ইউনিয়নের ১ হাজার হেক্টর জমি এর আওতায় নেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মাধ্যমে রবি শস্য ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি মনে করছেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত