নানা সমস্যায় জর্জরিত রামপালের প্রসাদনগর ভৈরবডাঙ্গা প্রা. স্কুলটি

এম, এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৬:৫২ পিএম, বুধবার, ১ জুন ২০২২ | ৭৯৮

রামপালের প্রসাদনগর ভৈরবডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নানা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়েছে। সুপেয় পানির তীব্র সংকট, শ্রেণী কক্ষের সংকটের কারণে শিশুদের পাঠদান মারাত্মকভাবে ব্যহত হচ্ছে। এসব সমস্যার সমাধান চেয়ে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছেন।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, ছোট্ট খেলার মাঠ থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাটি কেটে গর্ত করা, বালি ও খোয়া রেখে মাঠটি আটকে রাখায় শিশুদের চলাচলে ও খেলাধুলা করতে পরাছে না। আবাসন সমস্যার সমাধানের জন্য সরকারিভাবে একটি নতুন ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিন বছর পূর্বে নতুন স্কুল ভবনটি নির্মাণ কাজ শুরু হলেও সামান্য কিছু কাজ করে ঠিকাদার কাজটি ফেলে চলে যায়। এতে ওই স্কুলে পড়া প্রায় দুই শতাধিক শিশু লেখাপড়া করে। আবাসন সমস্যার কারণে গাদাগাদি করে বসতে হচ্ছে। রয়েছে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। এসব কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে শিশুরা। উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে বারবার ধর্ণা দিয়েও পানি সংকটের সমাধান মিলছে না। দূর থেকে পানি কিনে এনে শিশুদের খাওয়াতে হয়। একটা পানির ট্যাংক থাকলেও বৃষ্টিপাত না হওয়ায় তাতে পানি নেই। পাশে ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সুপার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আওতায় একটি সারফেস ওয়াটার প্লান্ট স্থাপন করা হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সেটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। একটি গভীর নলকূপ হলে পানির সংকট দূর করা সম্ভব হবে।
প্রধান শিক্ষক নাগিনা খাতুন বলেন, আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন মহোদয় বরাবর আবেদন করেছি, তিনি ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান সকল সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি দ্রুত সমস্যার সমাধান চান।
ওই স্কুলের ভবন নির্মাণের ঠিকাদার নাজমুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমাদের কোন গাফিলতি নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি জানান, প্রধান শিক্ষক বিষয়টি অবহিত করেছেন। আমরা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস ও উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী সাহেবের সাথে কথা বলেছি যাতে সকল সমস্যার সমাধান সম্ভব হয়।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত