মোংলায়  কবি রুদ্রের ৬৪তম জন্মবার্ষিকী, সিমিত পরিসরে পালনের সিদ্ধান্ত

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ০৫:২০ পিএম, বুধবার, ১৪ অক্টোবর ২০২০ | ৯১৪

’ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ জনপ্রিয় এ গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৬৪ তম জন্মজয়ন্তী ১৬ অক্টোবর । দিনটি উপলক্ষে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, রুদ্র সংসদ (ঢাকা), সস্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, মোংলা সাহিত্য পরিষদ, মোংলা সরকারি কলেজ, কলতন শিল্পী গোষ্টি, প্রথমআলো বন্ধুসভা, স্টুডেন্টস ক্যাটারস্, সহ বিভিন্ন রাজনৈক ও সামাজিক সংগঠন নানা অনুষ্টানের মধ্য দিয়ে পালন করবে।
বাংলাদেশের কবিতায় অবিস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান। দিনটির স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠাখালিতে সকালে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল এবং দোয়ার আয়োজন করেছে। করোনাকালীন দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে এবার সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে রুদ্র সংসদ এ আয়োজনের কথা রয়েছে। অকাল প্রয়াত এই কবি যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের দীপ্র হাতিয়ার। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত