শিল্প ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর

ফকিরহাটে উচ্ছেদ অভিযান

ফকিরহাট সংবাদদাতা

আপডেট : ০৪:৫১ পিএম, মঙ্গলবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ | ১২২৫

ফকিরহাটে খুলনা-বাগেরহাট ও মংলা মহাসড়কে সড়ক বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল পর্যন্ত এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন যুগ্ম সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট শরিফুল ইসলাম।


ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সড়ক থেকে প্রায় ৪০ ফুট দুরে বাগেরহাট সিঃ ফুডের সামনে কম্পানির ভিতর প্রতিস্থাপনের জন্য রাখা তেলের টেঙ্কার ১৫/১৬ বছর আগে তৃপ্তি ফিলিং স্টেশনের লিজ নিয়ে প্ররিচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মেশিনসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ব্যপক ভাংচুর করা হয়।

কাটাখালী গুরুত্বপূর্ন বাস স্ট্যান্ডে সড়কের উপর থাকা জি এম ব্রাদার্স ফিলিং স্টেশন, খুলনা-মংলা সড়কে খান ফিলিং স্টেশন-২ সহ কয়েকটি পাকা স্থাপনা অপরিকল্পিত ভাবে গড়ে উঠায় এসকল স্থানে প্রতিনিয়ত দূর্ঘটনা ঘটে। তৃপ্তি ফিলিং স্টেশনের পরিচালক রকি বলেন, আমাদের এ পাম্পের জন্ম লগ্ন থেকে সড়ক বিভাগের অনুমতি নিয়ে তাদের জমি ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রতি বছর যা নবায়ন করা হয়। তার পরেও প্রায় ৫লক্ষ টাকা দামের মেশিন সহ নিভিন্ন সন্ত্রাংশ ভেঙ্গে ফেলেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সড়ক বিভাগের পিয়ন মনোয়ার সহ কতিপয় কর্মকর্তা অনৈতিক ভাবে সুবিধা গ্রহন করে। ফলে লোকদেখানো উচ্ছেদ অভিযানের পরেই গড়ে ওঠে অবৈধ স্থাপনা। বৈধ স্থাপনা ভাঙ্গা ও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ না করা প্রসঙ্গে নির্বাহী প্রকৌশলী আনিসুর জামান মাসুদ কাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, যাদের বৈধ কাগজ পত্র আছে তাদের দেখানোর জন্য অফিসে আসতে বলা হয়েছে। আর যে সকল প্রতিষ্ঠান ভাঙ্গা হয়নি তা পুনরায় মেপে সড়কের জমিতে থাকলে দ্রুত ভাঙ্গা হবে। এ জন্য ১৫দিন সময় দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্থানীয়দের মাঝে এ উচ্ছেদ অভিযানে সড়ক বিভাগের ভুমিকা নিয়ে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।

উচ্ছেদ অভিযানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, উপসহকারী প্রকৌশলী মো রাশিদুর রেজা, উপ-সহকারী প্রকৌশলি নুরে আলম, সার্ভেয়ার নাইমুর রহমানসহ বিভিন্ন সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারি। উচ্ছেদ অভিযানে সহায়তা করে কাটাখালী হাইওয়ে থানা পুলিশ সদস্য বৃন্দ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত