স্কুল শিক্ষিকাকে নির্যাতনের ঘটনায়

১০দিন পর মোংলা থানায় ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:১৯ পিএম, শনিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৯ | ২৫৩৯

মোংলার চিলা ইউনিয়নের উত্তর হলদিবুনিয়ায় এক স্কুল শিক্ষিকাকে নির্যতনের ঘটনায় এলাকার দু’গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনার ১০দিন পর মোংলা থানায় মামলা রেকর্ডের পর পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে শনিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করেছে। তবে প্রধান আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় স্কুল শিক্ষিকা প্রনতি মল্লিকের পরিবার আতংকের মধ্যে রয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, মোংলার চিলা ইউনিয়নের হলদিবুনিয়া গ্রামের দিলিপ হালদার ও প্রতিবেশী রবিন মল্লিক পরিবারের মধ্যে বছর দু’য়েক আগ থেকেই বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। সরকারি ভুমি জরিপকারীসহ চিলা ও চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান প্রথম দফায় এ বিরোধ মিমাংসা করে। কিন্তু এতে দিলিপ পরিবারের মনোপুত না হওয়ায় এ দ্বন্ধ থেকে যায় দু’পরিবারের মধ্যে। স্থানীয় ক্যাথলিক মিশনের ধর্মযাজকসহ জনপ্রতিনিধিরা ও কয়েক দফায় এ বিরোধ মিমাংসার চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।

পরে গত বছরের ৭ নভেম্বর রবিন মল্লিকের ৩টি ছাগল বেধে রাখে তপন হালদার। পরে মেয়ে স্কুল শিক্ষিকা প্রনতি মল্লিক এটি ছাড়িয়ে আনতে গেলে তপন তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। এনিয়ে একটি মামলা হয় মোংলা থানায়। এ মামলার জেরে পুনরায় গত ১৫ অক্টোবর দুপুরে তপন হালদার, পিয়াস,দিলিপ, জেম্স, দিপ্ত হালদারসহ ১০/১৫ জনের একটি সংঙ্গবদ্ধ দল তাদের সীমানা প্রাচীরের রেখে রবিন মল্লিকের সিমানার মধ্যে গিয়ে -বেড়া সংস্কার করতে যায়। এতে রবিন মল্লিকের স্ত্রী মারিয়া মল্লিক, কন্যা মিশনারী স্কুলের শিকিা প্রনতি মল্লিক তাতে বাঁধা দেয় এবং বাকবিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে তপন হালদারের লোকজন রবিন মল্লিকের স্ত্রী ও মেয়েদের উপর হামলা ও নির্যাতন চালায়। এসময় তপন হালদারের লোকজনের মারধরে প্রনতি মল্লিকসহ তার মা ও বোন রক্তাক্ত জখম হয়। তাৎনিক স্কুল শিক্ষিকা প্রনতিকে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা অবনতি হলে গত বুধবার বিকেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের মধ্যে প্রনতি মল্লিককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তার অবস্থা একটু উন্নতির দিকে বলে জানায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক।

মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল বাহার চৌধূরী বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ ঘটনায় স্কুল শিক্ষিকার পিতা রবিন মল্লিক সুনির্দিষ্ট ১৩ জনসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ পলিনা হালদার ও মান্না হালদার নামে এ মামলার দু’ আসামিকে আটক করে শনিবার আদালতে প্রেরণ করে এবং অন্য আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছেও বলে জানায় এ কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত