বোরা আবাদে

রামপালে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ঝড় বৃষ্টির শংকা

এম, এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৭:২৭ এএম, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০১৯ | ৬৭৭

রামপালে চলতি বোরো মৌসুমে গত বছরের চেয়ে আবাদী জমির কম হয়েছে। আবাদকৃত জমিতে ভাল ফলনের আশা করা হলেও প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারনে ফসল ঘরে তোলা নিয়ে শংকায় পড়েছেন কৃষকরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে তীব্র লবনাক্ত এ উপজেলায় আবাদের লক্ষমাত্র ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৪৭০ হেক্টর জমি। চালের উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯ হাজার ২৪৬ মেট্রিক টন। গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এ উপজেলায় আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর। ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৭৫ হেক্টর বেড়ে ৪ হাজার ৬০৫ হেক্টর জমি আবাদ করা হয়েছিল। চলতি মৌসুমে ১৩৫ হেক্টর কমে ৪ হাজার ৪৭০ হেক্টরে নেমে এসেছে।

এ বছর গৌরম্ভা ইউনিয়নে হাইব্রিড ১৩৬ হেক্টর, উফশী ১১৬ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। উজলকুড়ে হাইব্রিড ২ হাজার ১১৭ হেক্টর, উফশী ৪৯০ হেক্টর, স্থাণীয় ৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। বাইনতলায় হাইব্রিড ৬৯৮ হেক্টর, উফশী ২৫৫ হেক্টর, স্থাণীয় ৩৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। রামপাল সদর হাইব্রিড ১৬৮ হেক্টর, উফশী ৩৫০ হেক্টর, স্থাণীয় ১০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। রাজনগরে হাইব্রিড ১৫ হেক্টর, উফশী ১১ হেক্টর, স্থাণীয় ৪ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। হুড়কায় হাইব্রিড ২ হেক্টর, জমিতে আবাদ হয়েছে। পেড়িখালীতে উফশী ১ হেক্টর, ভোজপাতিয়ায় হাইব্রিড ৬ হেক্টর, উফশী ৫ হেক্টর, মল্লিকেরবেড় হাইব্রিড ৭ হেক্টর ও উফশী ৬ হেক্টর এবং বাশঁতলীতে হাইব্রিড ১ হেক্টর ও উফশী ৬ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

এ ব্যাপারে আদর্শকৃষক ও ভরসাপুর আইপিএম কাবের সভাপতি শেখ আনসার আলীর সাথে কথা হলে তিনি শংকা প্রকাশ করে বলেন, এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরন হবেনা, কারন আগাম ঝড়, শীলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসল তোলা পর্যন্ত আরো সমস্যা হতে পারে। এ ছাড়া ধানের বাজার মূল্য কম হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হবে, এত কৃষকের খরচ বাঁচবেনা। অধিকাংশ কৃষক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে জমি আবাদ করেছেন কিন্তু এ অবস্থায় তারা কিভাবে এ ঋণ পরিশোধ করবেন ?

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষিকর্মকর্তা মোঃ মোতাহার হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে, তিনি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন ঝড় বৃষ্টির শংকা একটু রয়েছে তবে আগাম বৃষ্টির কারণে ফলন খুব ভালো হওয়ার আশা করছি। এ ছাড়াও সার ও বীজের সরবরাহ সন্তোষজনক ছিল। আবহাওয়া এভাবে থাকলে লক্ষ্যমাত্রা বেড়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত