চিতলমারীতে নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়ের

চিতলমারীতে হিন্দু পরিবারের দুই নরীকে গাছে বেধে নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসি।

জানা গেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের রায়গ্রামের দেবদাস মাল ও সঞ্জীত রায়ের বাড়িতে সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে প্রতিবেশি শাকিল ওরফে জাহিদ শেখের নের্তৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র, লাঠিসোটা নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর করে। এ সময় বাড়িতে কোন পুরুষ লোক না থাকায় নারীরা বাধা দিতে এগিয়ে এলে বৃদ্ধা আয়না মাল (৭০) ও তার পুত্রবধূ সুমতি মাল (৪০) কে গাছের সাথে বেধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়। তাদের চিৎকারে প্রতিবেশিরা বাধা দিতে এগিয়ে এলে ওই বাহিনীর হুমকির মুখে কেউই কাছে যেতে সাহস পাইনি। খবর পেয়ে চিতলমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ওই দুই নারীকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে চিতলমারী স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করেছে। এ ঘটনার মূল হোতা শাকিল ওরফে জাহিদ শেখকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।

বিষটি নিয়ে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি করেছেন নির্যাতিতার পরিবার ও এলাকাবাসি।

এ ব্যাপারে চিতলমারী সদর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. মিজানুর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, শাকিল ও তার সঙ্গীয়রা মিলে বৃদ্ধা আয়না মাল ও তার পুত্রবধূ সুমতি মালকে গাছে বেঁধে যে মধ্যযুগীয় নির্যাতন চালিয়েছে তার দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি হওয়া দরকার। তিনি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

ঘটনার প্রত্যদর্শী চিন্তা হালদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, শাকিল ও তার দলবলের লোকজন ওই দুই নারীকে একটি বট গাছের সাথে বেধে বিবস্ত্র করে বেদম প্রহর করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় ওই বাহিনীর লোকজন। ভয়ে কেউই কাছে যেতে পারেননি।

এ ব্যাপারে শাকিল ওরফে জাহিদের মা জাহানারা বিবি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ওই জায়গা নিয়ে প্রতিবেশিদের সাথে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। ওই জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।

চিতলমারী থানার ওসি অনুকূল সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিলো। এ ব্যাপারে গতকাল মঙ্গলবার থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং- ৪। ঘটনার মূলহোতা শাকিলকে আটক করা হয়েছে বাকী আসামিদের আটকের চেষ্টা চলছে।