মোরেলগঞ্জে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিবহনে চাঁদা আদায় বন্ধ

মোরেলগঞ্জ সংবাদদাতা

আপডেট : ১২:১৫ পিএম, রোববার, ২২ অক্টোবর ২০১৭ | ৮১০

মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল আলম

মোরেলগঞ্জে পরিবহন সেক্টরের পাঁচ স্পটের চাঁদাবাজি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। রোববার সকালে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশের ৬ সদস্যের একটি টিম সরেজমিন গিয়ে স্টাটারীর নামে ওই চাঁদা আদায় বন্ধ করে দেয়। এ সময় অভিযানে থাকা পুলিশের ওই টিম পাঁচ স্পটে থাকা চালক, মালিক ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন এবং ভবিষ্যতে কেউ চাঁদা দাবী করলে সরাসরি থানা অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করার জন্য আহবান জানান। স্টাটারীর নামে চাঁদা আদায় করা স্পট গুলো হলো উপজেলার বানিয়াখালী, আমতলী বাজার, সন্ন্যাসী বাজার, পল্লীমঙ্গল ও খাউলিয়া বাজার।

ইজিবাইক চালকরা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, দীর্ঘদিন আমরা একটা জিম্মি দশার মধ্যে ছিলাম। দৈনিক আয়ের সিংহ ভাগই চলে যেত তথা কথিত স্টাটারীর নামের চাঁদায়। এক অটো চালক জানান, আমাদের চাঁদা দিতে হতো এক এক স্পটে এক এক রকম। কোন স্পটে মাসিক, কোন স্পটে দৈনিক আবার কোন স্পটে ট্রিপে। এ ছাড়াও নতুন ইজি,অটো বা টমটম নামালে দিতে হতো মোটা অংকের বকসিশ। তবে ওসির এ মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন ভুক্তভোগিরা।

মোরেলগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. রাশেদুল আলম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ ওই স্পট গুলোতে ইজি,অটো ও টমটম চালকদের কাছ থেকে বেপরোয়া চাঁদা আদায়ের অভিযোগ আসছিল। তিনি আরো বলেন, চালকরা বিনা চাঁদায় গাড়ি চালাবে। পরবর্তীতে চাঁদা আদায়ের কোন অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা।

উল্লেখ্য, ইজি,অটো ও টমটমের সরকারী অনুমোদন না থাকলেও এ অঞ্চলে হাজার হাজার যুবকের
কর্মসংস্থান হয়েছে এ পেশার উপর নির্ভর করে। এসকল রুটে ভারি যানবাহন না চলায় যাত্রীরাও কম খরচে যাতায়াত করতে পারছে। কিন্তু কিছু অসাধু লোক সরকার দলীয় সাইনবোর্ড ব্যবহার করে দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধ ভাবে এ ওই চাঁদা আদায় করে আসছিল।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত