মেয়েলি ঘটনা’র নালিশ নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয় সবুজকে:আটক-২

চিতলমারীতে নিখোঁজের ৬ দিন পর কলেজ ছাত্রের গলিত লাশ উদ্ধার

এস এস সাগর

আপডেট : ০৪:৪২ পিএম, রোববার, ১৯ আগস্ট ২০১৮ | ৫৬৬৪

সবুজ বিশ্বাস

‘বন্ধুর প্রেমের ঘটনা স্কুলের স্যারদের কাছে নালিশ করায় পরিকল্পিত ভাবে সবুজ বিশ্বাসকে (১৭) হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ হত্যা মিশনে জড়িত থাকার সন্দেহে দুই বন্ধু ইমন খান (১৮) সিব্বির খান ও (১৯) কে আটক করেছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মেইন রোডের পার্শ্বে পল্লব হারবালের পিছনের একটি ডোবা থেকে নিহত কলেজ ছাত্র সুবজ বিশ্বাসের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আটককৃত ইমন খান উপজেলার আড়–য়াবর্নি গ্রামের হাসমত আলী খানের ছেলে ও সিব্বির খান একই গ্রামের সালাম খানের ছেলে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।’- রোববার দুপুরে চিতলমারী থানা চত্বরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

আটক  ইমন খান, সিব্বির খান

তিনি আরও জানান, গত ১৩ আগস্ট বিকাল সাড়ে চারটার দিকে শেরে বাংলা ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ও উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের শিবপুর-কাটাখালী গ্রামের কৃষক পরিতোষ বিশ্বাসের একমাত্র ছেলে সবুজ বিশ্বাস বন্ধুদের ডাকে মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এদিন বন্ধুদের সাথে সে ঘুরতে যায়। এর পর রাতে আর বাড়িতে ফেরেনি সে। পরিবারের লোকজন আত্মীয়-স্বজন ও বিভিন্ন লোকের বাড়ি খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে এ বিষয়ে পরদিন ১৪ আগস্ট রাতে চিতলমারী থানায় একটি জিডি করেন । এরপর থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধারের জন্য বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়।

প্রেসব্রিফিংয়ে  অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহাদাৎ হোসেন


মোবাইলের সূত্র ধরে গত শনিবার গভীর রাতে গোপালগঞ্জ শহরের মোহাম্মদপাড়া এলাকার হাসান মৃধার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নিখোঁজ সবুজের দুই বন্ধু লিমন ও সিব্বিরকে আটক করে পুলিশ। তাদেরকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে সবুজকে হত্যার কথা স্বীকার করে তারা। পুলিশের কাছে দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে ১৩ আগষ্ট রাতে চিতলমারী থানা থেকে কিছুটা দূরে একটি পরিত্যক্ত ঘরে বসে আড্ডা দেওয়ার সময় ঠান্ডা মাথায় প্রথমে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয় সবুজকে। এ পর সঙ্গা হারিয়ে ফেলে সবুজ। এ সময় গালায় রশি দিয়ে শ্বাস রোধ করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে।


পরে গভীর রাতে লাশ পাশের একটি ডোবায় কচুরির নিচে গুম করে রেখে সবুজের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি নিয়ে সিব্বির ও লিমন গোপালগঞ্জ শহরে তাদের আত্মীয় বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত লিমন খান উপজেলার আডুয়াবর্ণি গ্রামের হাসমত আলী খানের ছেলে । সে এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও সিব্বির ওই একই গ্রামের ছালাম খানের ছেলে। সে এসএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। তাদের আটকের সময় সবুজের মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

প্রতিবাদ মিছিল

অপরদিকে সজুজের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে এলাকাবাসী চিতলমারী সদর বাজারে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত