বাগেরহাটকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলতে

বাগেরহাটে নির্মান হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ডিসি ইকো পার্ক

মামুন আহম্মেদ

আপডেট : ০৫:০৯ পিএম, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০১৭ | ২৫২৭

ডিসি ইকো পার্ক

ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সুন্দরবন, ষাটগম্বুজ মসজিদ, খানজাহান আলী (রাঃ) এর মাজার শরীফ, অযোধ্যা মঠসহ খানজাহানের আমলে নির্মিত বিভিন্ন স্থাপনার কারনে বাগেরহাট জেলা দেশী-বিদেশী পর্যটকদের জন্য সব সময়ই আকর্ষনীয় স্থান। আর বাগেরহাট জেলাকে এবার পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষনীয় করে তুলতে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নে ভৈরব নদীর তীরে প্রায় ১৫ একর জমির উপর তৈরী করা হচ্ছে ডিসি ইকো পার্ক। প্রায় ৬ কোটি কোটি টাকা ব্যায় ধরা হয়েছে এ পার্কটির নির্মান করার জন্য। ইতি মধ্যে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মানের মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে পার্কটি। সম্পন্ন করা হয়েছে ২৫ শতাংশ কাজ। বাকি কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, বাগেরহাট জেলা প্রশাসনের অর্থায়নে ও যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক সহযোগীতায় নির্মিত হচ্ছে এ পার্কটি। জেলা প্রশাসকের দিক নির্দেশনা নিয়ে এ ইকো পার্কটিকে খুলনা বিভাগের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন করে সাজানো হচ্ছে। ইতি মধ্যেই যাত্রাপুর বাজারের ভৈরব নদীর তীরে মনোরম পরিবেশে চলমান এ পার্কের এলাকা বিস্তৃত করার জন্য প্রায় ১৫ একর জমিতে পিলার ও তারকাটা দিয়ে ঘেরা হয়েছে। পার্কের প্রধান ফটকে নির্মান করা হয়েছে আকর্ষনীয় পানির ফোয়ারা ও ব্রিজ।

ডিসি ইকো পার্ক

বাগেরহাট যাত্রাপুর ইউপি চেয়ারম্যান এমএ মতিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, যাত্রাপুর বাজারের ভৈরব নদীর তীরে বৃস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে নির্মান করা হচ্ছে এ পার্ক। প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকা ব্যায় করা হবে এ পার্কটি নির্মান করার জন্য। খুলনা বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষনীয় করে তৈরী করা হচ্ছে এ পার্কটি। বিভিন্ন ধরনের আধুনিক স্থাপনা তৈরী করা হচ্ছে এ পার্কটিতে যা দেশি-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষন করবে।

বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুল হাফিজ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, জেলা প্রশাসকের দিক নির্দেশনা নিয়ে এই ইকো পার্কটির কাজ করা হচ্ছে। ইতি মধ্যেই পার্কটির ২৫ সতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং ২০১৭ অর্থ বছরে পার্কটির ৫০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা হবে। আগামী ২০১৮ অর্থ বছরে সম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে পার্কটি দেশি-বিদেশী পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, ভৈরব নদীর তীরে এ ইকো পার্কটির পাশে প্রাকৃতিক ভাবে সুন্দরী-গোলপাতাসহ বিভিন্ন গাছের জন্ম হয়েছে। যে কারনে পর্যটকরা এখানে বিশ^ ঐতিহ্য সুন্দরবনের একটা স্বাদ অনুভব করতে পারবে। এছাড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ ও সুন্দরবনসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থাপনার জন্য বাগেরহাট জেলা সব সময় দেশি-বিদেশী পর্যটকদের আকর্ষনীয় স্থান। এর সাথে নির্মানাধীন এ ডিসি ইকো পার্কটি পর্যটকদের বাড়তি আনন্দ দেবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত