শরণখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১২:৪২ এএম, বুধবার, ১২ জুলাই ২০২৩ | ২৮৮

প্রতিকী ছবি

শরণখোলা উপজেলার চালিতাবুনিয়া সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৩টি পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েছেন মোঃ এমদাদুল হক নামের এক ব্যক্তি। তিনি নিরাপত্তা কর্মী পদে চাকুরী প্রার্থী মোঃ শাকিল হাওলাদারের বাবা।


অভিযোগ থেকে জানাযায়, সুন্দরবন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একজন করে নিরাপত্তাকর্মী, আয়া ও অফিস সহায়ক নিয়োগের লক্ষে ১৩ জুলাই বাগেরহাট সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আছাদুজ্জামান ও বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর খলিফা তিনটি পদে নিয়োগের জন্য তিনজন প্রার্থীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা চুক্তি করেছেন। নিরাপত্তাকর্মী পদের জন্য চালিতাবুনিয়া এলাকার ফুল মিয়া হাওলাদারের ছেলে জাকির হাওলাদারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকা নিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আছাদুজ্জামান ও সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর খলিফা। ৬মাস যাবৎ জাকির হাওলাদার স্কুলে কাজও করছেন।

এছাড়া আয়া পদের জন্য চালিতাবুনিয়া এলাকার মান্নান পঞ্চায়েতের মেয়ে মাহিনুর আক্তার দুই লক্ষ এবং অফিস সহায়ক পদের জন্য একই এলাকার আব্দুস সালাম হাওলাদারের ছেলে ফিরোজ হাওলাদার ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন প্রধান শিক্ষক আছাদুজ্জামান ও সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর খলিফার কাছে।


মোঃ এমদাদুল হক বলেন, যার যোগ্যতা আছে তার চাকুরী হবে, এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। নিয়োগ পরীক্ষার আগেই টাকার বিনিময়ে চাকুরী নিশ্চিত করে দিয়েছেন সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক। এই নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। আমরা চাই মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এসব পদে নিয়োগ হোক।


এদিকে মোঃ এমদাদুল হকের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক মোঃ আছাদুজ্জামান বলেন, আমি কারও কাছ থেকে টাকা গ্রহন করিনি। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় যারা ভাল করবে তাদেরই নিয়োগ হবে।


বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোঃ জাহাঙ্গীর খলিফা বলেন, নিয়োগের জন্য টাকা নেওয়া হয়নি। এই নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ করতে এসব অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।


বাগেরহাট জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস.এম ছায়েদুর রহমান বলেন, আমরা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত করে, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত