শিক্ষক দম্পতির ওপর ইউপি সদস্যের হামলা

শরণখোলায়  প্রতিবাদে মানববন্ধন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০১:৩৬ এএম, মঙ্গলবার, ২৬ জুলাই ২০২২ | ৫১০

শরণখোলায় প্রথামিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও তার স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও আওয়ামীলগ নেতা সিদ্দিক গাজীর বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার (২৫ জুলাই) সকালে উপজেলা সদরে প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মাবনববন্ধন করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।


এর আগে গত শনিবার (২৩জুলাই) উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের ৩৭ নম্বর পশ্চিম বানিয়াখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. মালেক হাওলাদার ও তার স্ত্রী নাছিমা বেগমের ওপর এই হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী শিক্ষক মালেক হাওলাদার বলেন, সিদ্দিক গাজী স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি এবং বর্তমান ইউপি সদস্য। তার বাড়ির সামনে আমাদের বিদ্যালয়টির অবস্থান। যার ফলে তিনি ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দকৃত সকল অর্থ কৌশলে দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাত করে আসছেন। তার এসব অনৈতিক কাজের প্রতিবাদ করায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত হন।


ঘটনারদিন (শনিবার) সকালে আমি ও আমার স্ত্রীকে বড়ির সামনে পেয়ে সিদ্দিক গাজী ও তার লোকজন অকথ্য ভাষায় গালাগালি করার একপর্যায়ে মারধর করতে থাকেন। তাদের হামলায় আমার স্ত্রীর মাথা ফেটে যায়। তারা বিদ্যালয়ে গিয়েও আমাকে মারধর করেন। পরে আমার ছেলে রাসেল ৯৯৯ কল দিলে শরণখোলা থানা পুলিশ গিয়ে আমাদের (স্বামী-স্ত্রী) দুজনকে উদ্ধার করে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষকদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শিক্ষক দম্পতির ওপর হামলার তীব্র নিন্দা ও ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে বক্তৃতা করেন, শিক্ষক বাবুল আকন, জুয়েল মীর, সদরুল ইসলাম প্রমূখ।

এব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য মো. ছিদ্দিক গাজী বিদ্যালয়ের বরাদ্দের অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে বলেন, শিক্ষক মালেক হাওলাদারের বড় ছেলের সঙ্গে স্থানীয় বাবুল হাওলাদারের স্ত্রীর দ্বন্দ্ব চলছে। ওই দিন তাদের দুই পক্ষকে স্কুলের সামনে মারামারি করতে দেখে আমি তাদের থামাতে যাই। এসময় মালেকের ছেলে উল্টো আমার ওপর হামলা চালায়।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত