বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত

শরণখোলায় ফেস্টুন ব্যানার ভাঙ্চুরের অভিযোগ

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৪:২৭ পিএম, বুধবার, ১৪ মার্চ ২০১৮ | ১৮০৭

শরণখোলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত একাধিক ফেস্টুন, ব্যানার ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন র‌্যাব-৬ এর কথিত সোর্স তরিকুল ইসলাম ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে শরণখোলা প্রেসকাবে এমন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা আওয়ামী তাঁতীলীগের নেতাকর্মীরা।


তাঁতীলীগের শরণখোলা উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. শাহীন হোসেন হাওলাদার লিখিত বক্তব্যে দাবি করেন, উপজেলার ধানসাগর ইউনিয়নের সুন্দরবন সংলগ্ন রতিয়া রাজাপুর গ্রামের বিভিন্ন গাছে ও বিদ্যুতের খুটিতে উপজেলা তাঁতী লীগের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় নেতাদের ছবি সম্বলিত ফেস্টুন ও ব্যানার টাঙানো হয়। গত ১১ মার্চ রাতে স্থানীয় বাসিন্দা এবং র‌্যাব-৬ এর সোর্স পরিচয় দানকারী বিএনপি সমর্থক মো. তরিকুল ইসলাম ও তার সহযোগীরা ওইসব ব্যানার-ফেস্টুন ছিড়ে ফেলে। এ খবর পেয়ে পরের দিন ১২ মার্চ তাঁতীলীগের নেতাকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি জানতে চাইলে তরিকুল নিজেকে র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এমনকি এনিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে বিভিন্ন মামলায় ফাঁসিয়ে র‌্যাবের মাধ্যমে তাদেরকে ক্রসফায়ারেরও হুমকি দেন ওই তরিকুল।

এঘটনায় তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক শরণখোলা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তরিকুল র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করলে গত ১৩ মার্চ রাতে কতিপয় র‌্যাব সদস্য দুটি মাইক্রোবাস যোগে শরণখোলায় এসে তাঁতীলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন ও কয়েক নেতার বাসা তল্লাশিসহ বিভিন্ন স্থানে তাদেরকে খুঁজতে থাকে। এতে তাদের পরিবার ও স্বজনদের মাঝে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।


লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিএনপির সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কথিত র‌্যাব সোর্স তরিকুল কয়েক বছর আগে ইয়াবাসহ শরণখোলা থানা পুলিশের হাতে আটক হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকের মামলা রয়েছে। এমনকি তার বাবা আ. আজিজ সরদারের বিরুদ্ধেও শরণখোলা থানায় নাশকতার মামলা রয়েছে। তরিকুল র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দিয়ে উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন রতিয়া রাজাপুর, উত্তর রাজাপুর ও পশ্চিম রাজাপুর এলাকার সাধারণ মানুষকে ৩-৪ বছর ধরে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে চলেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বললে তাকে ডাকাতি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের চাঁদা আদায় করছে। তার এই হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তাঁতীলীগের নেতাকর্মীরা।


সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামী লীগ যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ. সোবাহান মুন্সী, তাঁতী লীগের সভাপতি জিয়াউল হাসান তালুকদার, সহসভাপতি মনির জোমাদ্দার, মহিলা সম্পাদিকা সুরাইয়া আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আঃ হালিম মোল্লা, সেলিম গাজী, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হাওলাদার, দপ্তর সম্পাদক কাওসার আহমেদ মধু, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডাঃ জাকির হোসেন, তথ্য সম্পাদক মাসুদ রানাসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত