ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যর নেতৃত্বে

চিতলমারীতে বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে মারপিট ও বসতবাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:০৪ পিএম, শনিবার, ১১ জুন ২০২২ | ৪৬৭

চিতলমারীতে ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যর নেতৃত্বে এক বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে মারপিট ও তাঁর বসতবাড়ি এবং আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশীরা আহত ওই বৃদ্ধাকে পার্শ¦বর্তী মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছেন। শুক্রবার (১০ জুন) সকাল ৭ টার দিকে উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পল্লী লহ্মীপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে।


বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের ভাই এস এম হাসমত আলী বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার (৯ জুন) বিকেলে আমাদের এলাকায় তাস খেলা নিয়ে আক্কেল শেখের ছেলে দ্বীন ইসলাম (২৫) ও মৃত বারিক শেখের ছেলে মারুফ শেখের (২৭) সাথে মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে দ্বীন ইসলামের চাচা শিবপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান বংশীয় প্রভাব বিস্তারের জন্য শুক্রবার সকাল ৭ টার দিকে ৪০-৫০ জন লোক নিয়ে আমার ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেনের বসত বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় হামলাকারীরা বসত বাড়ি ও আসবাবপত্র ভাংচুর করে। তাঁেদর ঠেকাতে গিয়ে মারপিটে আমার বিধবা ভাবি তাসলিমা বেগম (৬০) মারাত্মক আহত হন। পরে প্রতিবেশীরা আমার ভাবিকে পার্শ¦বর্তী মোল্লাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ব্যাপারে ভাংচুর ও মারপিটের কথা অস্বীকার করে শিবপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান বলেন, ‘আমিও একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমার ভাইপো দ্বীন ইসলামকে আহত করেছে ওদের বংশের লোকেরা। সে বিষয়ে শুনতে গিয়েছিলাম।

বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সদস্য বিষ্ণুপদ বর্মন জানান, ঘটনা যাই হোক একজন বীরমুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর এটা অন্যায় করা হয়েছে। এটা খুবই ঘৃনিত কাজ।


বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জেসমিন সুলতানা বলেন, ‘বাড়ি ঘর ভেঙ্গেছে ভাল কথা। কিন্তু একজন বৃদ্ধা বিধবা নারীর ওপর এ হামলা ন্যাক্কারজনক। এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার।


চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বাড়ি ঘর ভাংচুরের প্রমান মিলেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা থানায় এসেছিল মামলা দেওয়ার জন্য। চিতলমারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মাহাতাবুজ্জামান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদ সদস্য মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বিষয়টি মিমাংশার কথা বলে উভয় পক্ষকে থানা থেকে ডেকে নিয়ে গেছেন।


বাগেরহাট জেলা পরিষদেও সাবেক সদস্য মোহাম্মদ ওয়ালিউজ্জামান বলেন, ‘শনিবার (১১ জুন) দুপুরে আমরা দুই পক্ষকে নিয়ে বসেছিলাম। কোন ফয়সালা হয়নি। আশাকরি দুই/একদিনের মধ্যে এ ঘটনায় একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত