একটি মহিষের মৃত্যু ও একটি বাচ্চা মহিষ আহত

সুন্দরবনে মহিষের উপর বাঘের আক্রমন

শরণখোলা সংবাদদাতা

আপডেট : ০৪:৩০ পিএম, রোববার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১০৫৬

আহত বাচ্চা মহিষ

সুন্দরবনে অবৈধভাবে মহিষ চরানোর সময় বাঘের আক্রমণে একটি মহিষের মৃত্যু ও একটি বাচ্চা মহিষ আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা টহল ফাঁড়ির ঢালিঘোপ নামক স্থানে। ঘটনার পর সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত ওয়াইল্ড টিম, সিপিজি’র সদস্য ও এলাকাবাসী বনের ওই এলাকায় তল্লাশি করে আহত মহিষটি উদ্ধার করেছেন। নিহত ও আহত মহিষ দুটির মালিক সোনাতলা গ্রামের জাকির হাওলাদার বলে জানা গেছে।

সুন্দরবন সুরক্ষায় নিয়োজিত ওয়াইল্ড টিমের শরণখোলা মাঠ সহকারী মো. জাকারিয়া মিঠু ও কমিউনিটি পিপলস ফোরামের (সিপিজি) ভোলা টিম লিডার মো. খলিল জমাদ্দার রবিবার বিকেল ৫টার দিকে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে মোবাইল ফোনে জানান, ঘটনাস্থল লোকালয় থেকে খুব কাছে হওয়ায় ওই রাতে বাঘের গর্জন শুনতে পান এলাকাবাসী। পরদিন সকালে তারা খবর পেয়ে বনে গিয়ে তল্লাশি করে আহত বাচ্চা মহিষটি উদ্ধার করেন। কিন্তু মারা যাওয়া মহিষটি পাওয়া যায়নি। আহত মহিষটির পেছনের ডান পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে বাঘের আক্রমনের চিহ্ন রয়েছে।

তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে বনসংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি বনের মধ্যে মহিষ চরিয়ে আসছেন। মাঘ-ফল্গুন মাস বাদে বছরের বাকি ১০ মাসই বনের মধ্যে ৫০-৬০ টি মহিষ থাকে। ওই অসাধু ব্যক্তিরা উপজেলার বগী, রায়েন্দা, উত্তর তাফালবাড়িসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকেও মহিষ রাখালী আনেন। তারা মাসে মহিষ প্রতি এক হাজার টাকা চুক্তিতে রাখাল হিসেবে কাজ করেন। এসব মহিষ বনের ছোট ছোট বিভিন্ন প্রজাতির চারাগাছ খেয়ে ফেলে। যা, সুন্দরবনের মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বনবিভাগের চোখের সামনেই বন ধ্বংসকারী এমন কাজ চলছে।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন বাঘের আক্রমণে দুটি মহিষ হতাহতের কথা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় লোকদের বনে মহিষ চরাতে নিষেধ করা হয়েছে। এর পর কোনো মহিষ বনে ঢুকলে সেই মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত