মোংলায় জমি রেজিষ্ট্রি না দিয়ে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পায়তারা
আপডেট : ০৮:৩৭ পিএম, শনিবার, ১৪ মে ২০২২ | ৩৬৪
মোংলায় এক ভুমি দস্যু জমি দেয়ার কথা বলে নগদ টাকা নিয়ে দলিল রেজিস্ট্রী না দেওয়ায় বিপাকে পড়েছে ভুক্তভোগী এক মাছ ব্যবসায়ী। উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের জয়খাঁ গ্রামে অসহায় হুমায়ুন কবির নামের এক ব্যাবসায়ীকে ১৩ শতক জমি দিয়ে বাড়ী করে বসতী স্থাপন করে দেয় জমির মালিক অখিল বৈরাগী। এসময় হুমায়ূন কবিরের কাছ থেকে জমির বিনিময় পর্যায়ক্রমে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে তিনি দলিল না দিয়ে এখন তাকে দেয়া বাড়ী থেকে উচ্ছেদের পায়তারা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় মোংলা থানাসহ আদালতেও মামলা করেছেন ভুক্তভোগী হুমায়ূন কবির।
থানায় ও আদালতে দেয়া মামলা সুত্রে জানা গেছে, মোংলা উপজেলার সোনাইলতলা ইউনিয়নের জয়খাঁ গ্রামের মতলেব শেখের ছেলে হুমায়ূন কবিরকে বাড়ী করে দেয়ার কথা বলে নিজের ১৩ শতক জায়গায় ঘর তৈরী করে বসতি স্থাপন করে দেয় একই এলাকার মৃত নিরোধ বৈরাগীর ছেলে অখিল বৈরাগী। এ জমির বাবদ হুমায়ুনের কাছ থেকে গত ২০২০ সালে ১৩ শতক জমি দিয়ে দুই দফায় আড়াই লাখ টাকা নেয় অখিল বৈরাগী। সে সময় থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত সেই জমিতে বসতি ঘর তৈরী করে বসবাস করে আসছে হুমায়ুন কবিরসহ তার পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু অখিল বৈরাগীকে জমি রেজিস্ট্রী করে দেয়ার কথা বললেই আজ দেব কাল দেব বলে তাল বাহানা করে আজ পর্যন্ত সেই জমির কোন রেজিষ্ট্রি দেয়নি অখিল।
এব্যাপারে জমি রেজিষ্ট্রির জন্য বলা হলে ভুক্তভোগী হুমায়ূন কবিরকে গত ৭ মে মারধর করে অখিল বৈরাগী। পরে ওই জমি থেকে তাকে উচ্ছেদের জন্য অখিল বৈরাগী সহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমায়ুনকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের জন্য প্রতিনিয়ত হুমকি-ধামকী দিয়ে আসছে, এমনকি এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে হুমায়ূনের বসত ঘরের পাশ দিয়ে মাটি কেটে তার ঘর ভাংচুরও করে। এছাড়া হুমায়ুনের বসত ঘরের চতুর্র্দিক থেকে এক্সেভেটর মেশিন দিয়ে মাটি কাটা অব্যাহত রেখেছে। যাতে তার বসত ঘরটি ভেঙ্গে পড়ে গেলে ওখান থেকে বিতারিত করতে পারে। এব্যাপারে ভুমিদস্যু অখিল বৈরাগীকে সহায়তা করছে স্থানীয় দলীয় একটি ক্ষমতাশীন প্রভাবশালী মহল বলে হুমায়ুন অভিযোগ করেন।
স্থানীয় সোনাইলতলা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ইউপি মেম্বর মনতোষ বৈরাগী বলেন, জমি দেওয়ার কথা বলে হুমায়ূনের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার ঘটনা সত্য, যার লেনদেনের সময় আমি অবগত। অখিল নিজেই হুমায়ুনকে এখানে এনে ঘর করে বসতি করে দিয়েছে কিন্ত টাকা নিয়ে কেন জমি রেজিষ্ট্রি দিচ্ছেনা তা বলতে পারবো না।
এ ব্যাপারে অখিল বৈরাগীর দাবি, জমি দেওয়ার কথা বলে আড়াই লাখ নয় এক লাখ টাকা নিয়েছেন তিনি। তবে সে টাকা ফেরত দিয়ে ওই জমি দখলে নেওয়া হবে। মারামারির ঘটনা সত্য না বলেও জানান তিনি।
মোংলা থানার এ এস আই আমিরুল ইসলাম বলেন, জমি থেকে উচ্ছেদের ব্যাপারে একটা অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। আজ শনিবার ওই এলাকায় ঘটনাস্থল তদন্তে গিয়ে সত্যতা পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় তিনি।