মোংলা রামপালের অপরাধের স্বর্গরাজ্য ভেঙ্গেছেন মেয়র খালেক ও উপমন্ত্রী

মাসুদ রানা,মোংলা

আপডেট : ০৫:৩২ পিএম, শুক্রবার, ৯ এপ্রিল ২০২১ | ২৬৩৮

তালুকদার আ.খালেক এবং উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি

মোংলা রামপালের অপরাধের স্বর্গরাজ্য এখন শান্ত হয়েছে, কমেছে অপরাধ, সাধারন মানুষের মধ্যে বেড়েছে আত্ন নির্ভরতা। এক সময়ের আতংকের জনপদ হয়েছে শান্তি ও সম্মৃদ্ধির প্রাণ কেন্দ্র। এসবই সম্ভব হয়েছে মোংলা রামপালের সাধারন মানুষের আশ্রয়স্থল সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান মেয়র তালুকদার আ.খালেক এবং তার সহধর্মীনি উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপির নেতৃত্বে।


১৯৯১ সালের আগে রামপাল মোংলা ছিলো অপরাধের স্বর্গরাজ্য। প্রতি দিন এখানে ঘটতো নানা ধরনের অপরাধ যেমন- খুন, ডাকাতি, চুরি,ধর্ষন, মাছের ঘের দখল নিয়ে মারামারি এবং মামলা মোকদ্দমায় পরিপূর্ণ ছিলো রামপাল- মোংলা উপজেলায়।


মোংলা রামপালের সাধারন মানুষ ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, এক সময়ে বড় ক্যাডার রামপাল মোংলার মানুষের আতঙ্ক রাজ্জাক হাওলাদার সহ অনেকে, সাধারণ মানুষের মাছের ঘের, ধানের জমি জিম্মি করে দখল করতো, কেউ যদি তাদের বিরোধিতা করেছে তবে তাকে হত্যা করে টুকরো টুকরো করে লাশ নদীতে ফেলে দিতো। সেই সময়ের কথা বলতে এখনো মানুষ শিউরে ওঠে। রামপাল মোংলার বড় বড় মাছের ঘের, ধানের জমি বহিরাগত ক্যাডারদের দখলে ছিলো, যাদের ইন্ধন দাতা ছিলো রাজ্জাক হাওলাদার সহ অনেকে। সাধারণ মানুষ ভয় ভীতিতে দিন যাপন করতো।

১৯৯১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রামপাল মোংলার জন্য তালুকদার আবদুল খালেককে নৌকা প্রতিক দিলেন, তখন দক্ষিনাঞ্চলে মানুষের জীবন ধারা ছিলো অনেক নিম্নমানের। রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট কিছু ই ছিলো না, যোগাযোগের একমাত্র বাহন ছিল নৌকা । ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে নৌকা প্রতীক নিয়ে তালুকদার আব্দুল খালেক আর ওই সময়ে সরকার গঠন করে বিএনপি।


পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয় লাভ করে তালুকদার আবদুল খালেক। আর সরকার গঠন করে আওয়ামীলীগ। তখন থেকে দিন দিন রামপাল মোংলা বাসীর জীবন যাএায় উন্নয়নের হাওয়া লাগে। বিতাড়িত করেন রাজ্জাক হাওলাদার সহ বড় বড় ক্যাডারদের।


ওই সময়ে তালুকদার আবদুল খালেক গ্রামে গ্রামে একটি স্লোগান দিলেন জমি যার ঘের তার। কমে আসে খুন, রাহাজানি, ধর্ষন,ডাকাতি। কমতে থাকে থানার মামলা মোকদ্দমা। সেই থেকে তৈরি হতে থাকে রাস্তা ঘাট, কালভার্ট, ব্রিজ , স্কুল সহ নতুন নতুন স্থাপনা। রামপাল মোংলা থেকে বড় বড় ক্যাডার বাহিনী বিতারিত হলেও তাদের কিছু অনুসারী আজও রয়ে গেছে আনাচে কানাচে বলে জানায় এলাকাবাসি।


২০০১ সালের নির্বাচনেও বিপুল ভোটে জয় লাভ করে নৌকা প্রতীক নিয়ে তালুকদার আবদুল খালেক কিন্তু অন্য দিকে বি এন পি সরকার ক্ষমতায় আসে। আবারও অপরাধের স্বর্গরাজ্য সৃষ্টি হয় রামপাল মোংলায় এবং ফেরত আসে রাজ্জাক হাওলাদার বাহিনী সহ অনেকে, পুনরায় শুরু হয় খুন, রাহাজানি,ডাকাতি, চাঁদাবাজি, ধর্ষন এর মতো বড় বড় অপরাধ। ২০০৮ সালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন করে জয় লাভ করে খুলনায় চলে গেলেন তালুকদার আঃ খালেক । অভিভাবক শূন্য হয়ে পড়ে রামপাল মোংলা।


তখন তালুকদার আব্দুল খালেকের কাছ থেকে চেয়ে নেন রামপাল মোংলা বাসী তারই সহধর্মিণীকে, কারন রামপাল মোংলাবাসী একটু শান্তিতে বাঁচতে চায় নিশ্চিন্তে ঘুমাতে চায়। সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নৌকা প্রতীক দিলেন বেগম হবিবুন নাহারকে।

২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে বাতাস লাগে নৌকার পালে, ঘুরে দাঁড়ায় সরকার আবারও ক্ষমতায় আসেন বিপুল ভোটে শেখ হাসিনা এবং রামপাল মোংলা থেকে পুনরায় বিপুল ভোটে জয় লাভ করেন বেগম হাবিবুন নাহার। সেই সময়েও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান বেগম হাবিবুন নাহার এমপি, সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করেন রামপাল মোংলা থেকে। অপরাধ দমন করলেও সেই অপরাধীদের দোষররা এখনো লিপ্ত রয়েছে নানা ষড়যন্ত্রে। সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করা, মোংলা- রামপালকে অশান্ত করা সহ নানা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রটি।

শত্রু ভয়ে থেমে না থেকে নিরলস ভাবে সাধারণত মানুষের সুখে দুঃখে পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন বন পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রনালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।
একজন উপমন্ত্রী হলেও চলাফেরা সাধারণ মানুষের মতো, ভ্যান চালক থেকে যে কোন সাধারন মানুষ অভিযোগ নিয়ে তার কাছে আসতে পারে অনায়াসে, আর তাদের কোন মাধ্যমের প্রয়োজন হয় না। ফোন দিলেও সরাসরি তারাই রিসিভ করেন এবং তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান করেন। তিনি ছুটে যান দেখতে তার দলের সাধারণ কোন নেতা কর্মী শারীরিক অসুস্থ হলে তার বাড়ী পর্যন্ত। দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে রামপাল মোংলার আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়িয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।


এখানকার সাধারন মানুষেরা বলেন, আমাদের পাশে তারা আছেন বলে রামপাল মোংলার মানুষ দু- বেলা পেট পুরে খেতে পায় এবং থাকতে পারে পরিবার নিয়ে সুখে শান্তিতে,ঘুমাতে পারি নিশ্চিন্তে। হতে হয় না আগের মতো মানুষিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার। তাই আমরা আমাদের শরীরের সম্পূর্ণ রক্ত দিয়েও তাদের ঋণ শোধ করতে পারবো না কোনদিন। রামপাল মোংলার অভিভাবক হিসাবে পেয়ে তারা ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।


তারা আরো বলেন আমাদের পাশে তারা আছেন থাকবেন সবসময়, আমরাও রামপাল মোংলাবাসী তাদের পাশে আছি, সারাজীবন থাকবে বলেও জানায় তারা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত