হরিণের ১৯টি চামড়াসহ দুই পাচারকারী আটক

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ১১:২৮ পিএম, শনিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২১ | ৬২২

বাঘের চামড়া উদ্ধার হওয়ার মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে একই এলাকা থেকে এবার উদ্ধার হয়েছে ১৯টি হরিণের চামড়া। আটক করা হয়েছে পাচারচক্রের সক্রিয় দুই সদস্যকে। শনিবার ভোররাতে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের রাজৈর বাসস্ট্যান্ডের একটি বাসা থেকে হরিণের চামড়ার এই বিশাল চালানসহ ওই পাচারকারীদের আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিব) একটি দল।

এর আগে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে ওই বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন জলিলের ব্রিজ এলাকা থেকে গাউস ফকির নামে এক পাচারকারীকে ৮ফুট লম্বা একটি বাঘের চামড়াসহ আটক করে বনবিভাগ ও র‌্যাব-৮ এর একটি দল।

হরিণের চামড়াসহ আটককৃতরা হলেন, শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিমরাজৈর গ্রামের মতিন ওরফে মতি কাজীর ছেলে ইলিয়াস হোসেন (৩৫) এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার ভদ্রপাড়া গ্রামের মোশারেফ শেখের ছেলে মনিরুল ইসলাম শেখ (৪৮)।

মনিরুল শেখ শরণখোলা-বাগেরহাট রুটের সরাসরি চলাচলকারী যাত্রীবাহী বাস মৌ এন্টারপ্রাইজের নিয়মিত চালক। তিনি শরণখোলা উপজেলার রাজৈর বাসস্ট্যান্ডের কাছে হারুন হাওলাদারের বাড়ির ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।

এছাড়া, ইলিয়াস হোসেনের বাবা মতি কাজী যুগ যুগ ধরে সুন্দরবনের বাঘ, হরিণ, কুমিরসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণির অঙ্গ পাচার করে আসছেন। মতি কাজী এসব অপরাধে বহুবার গ্রেপ্তার হলেও পরর্তীতে ছাড়া পেয়ে আবার সেই পুরোনো পেশায় ফিরে গেছেন। বাবার পথ অনুস্মরণ করে একই পেশা বেছে নিয়েছে তার ছেলেও।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার (এসপি) পংকজ চন্দ্র রায় শনিবার দুপুরে প্রেসব্রিফিংয়ে বলেন, শরণখোলার বাসস্ট্যান্ডে মনিরের বাসায় হরিণের চামড়া মজুদ থাকার বিষয়টি গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা। একপর্যায় ডিবি পুলিশের এসআই গাজী ইকবালের নেতৃত্বে গভীর রাতে মনিরের বাসায় অভিযান চালায়। এসময় পালানোর চেষ্টা করলে ইলিয়াস ও মনিরুলকে আটক করতে সক্ষম হয় ডিবি।

পরে তাদের স্বীকারোক্তিতে মনিরের ঘরের কাঠের পাটাতন থেকে দুইটি ব্যাগে রাখা ছোটবড় হরিণের ১৯টি চামড়া উদ্ধার করা হয়। আটককৃতরা সুন্দরবনের বন্যপ্রাণি শিকার ও পাচার চক্রের সক্রিয় সদস্য। পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে চামড়াসহ আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে প্রেসব্রিফিংয়ে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত