আদালতে মামলা

বাগেরহাটে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত্বের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ১০:২৬ পিএম, শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১১৪৯

অর্থ আত্মসাত্বের অভিযোগ

বাগেরহাটে অর্থ আত্মসাত্বের অভিযোগে শহরের শালতলা এলাকার জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী মন্ডলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। বিষ্ণুপদ পাল নামের এক ব্যাক্তি গত ১৫ জুলাই বাগেরহাট অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যজিষ্ট্রেট আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় শুকলা রানী মন্ডলের স্বামী বিবেকানন্দ সমাদ্দারকেও আসামী করা হয়েছে। এছাড়াও অর্থ আত্মসাত্বের অভিযোগ এনে বিষ্ণু পদ পাল বাগেরহাট পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ ও মামলার বিবরনী সূত্রে জানাযায়, বাগেরহাট জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী পদে চাকরী দেওয়ার কথা বলে গত ২০১৪ সালের ৪ এপ্রিল শহরের হাড়িখালী এলাকার বিজয় কুষ্ণ পালের ছেলে বিষ্ণু পদ পালকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়। অস্থায়ী নিয়োগের পর ১১ মাস পর্যন্ত মাত্র এক হাজার টাকা প্রতি মাসে বেতন দেয়া হয় বিষ্ণু পদ পালকে। এর কিছুদিন পর বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী মন্ডল চাকুরী স্থায়ী করনের কথা বলে বিষ্ণু পদ পালের কাছে দুই লক্ষ টাকা জামানত দাবী করেন। এক পর্যায়ে চাকুরী পাবার আশায় দরিদ্র বিষ্ণু পদ পাল শেষ সম্বল জমি বিক্রয় করে গত ২০১৪ সালের ৮ মে প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী মন্ডলের কথা মত তার স্বামী বিবেকানন্দ সমাদ্দারের হাতে দুই লক্ষ টাকা তুলে দেন। পরে নিয়োগ পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস করে এনে দেবার কথা বলে বিষ্ণু পদ পালের নিকট থেকে আরো দশ হাজার টাকা দাবী করেন প্রধান শিক্ষিকা শুকলা। এসময় বাধ্য হয়ে বিষ্ণু পদ দশ হাজার টাকা দিয়ে ফাঁসকৃত ওই প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে। কিন্তু পরীক্ষা শেষে বিদ্যালয়ে নৈশ্য প্রহরী পদে অন্য এক ব্যাক্তিকে নিয়োগ করা হয়। এসময় সর্বস্ব হারিয়ে অসহায় দরিদ্র বিষ্ণু প্রধান শিক্ষিকা শুকলা রানী ও তার স্বামী বিবেকানন্দের কাছে ছুটে যায় এবং জামানতের কথা বলে নেয়া তার দুই লক্ষা টাকা ফেরত চায়। এসময় শুকলা রানী মন্ডলের স্বামী বিবেকানন্দ বেশি বুঝলে জেলের ঘানি টানতে হবে বলে বিষ্ণু পালকে হুমকী দেয়। পরবর্তিতে বিষ্ণুকে সদর উপজেলার ডেমা কাশিমপুর স্কুলে চাকুরী দেবার কথা বলে দীর্ঘদিন ধরে কালক্ষেপন করতে থাকে। পরে সেখানেও চাকুরী দিতে না পেরে শিক্ষিকা শুকলা রানী টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাহানাবাদ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শুকলা রানী মন্ডল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয়ের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ৫০ হাজার টাকা জামানত নিয়ে বিষ্ণু পদ পালকে অস্থায়ী ভাবে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল। পরবর্তিতে নিয়োগ পরীক্ষায় সে অকৃতকার্য হলে তাকে নগদ ২০ হাজার টাকা ও তার ছেলের জন্য ৩০ হাজার টাকা দিয়ে একটি কম্পিউটার কিনে দেয়া হয়। মূলত চাকুরী না পেয়ে বিষ্ণু আমি এবং আমার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছে।

এ বিষয়ে বিষ্ণু পদ পাল শুক্রবার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমার পিতার রেখে যাওয়া শেষ সম্বল জমি বিক্রয় করে আমি ম্যাডামকে টাকা দিয়েছি। সব হারিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে আমি এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছি। আমি আমার টাকা ফেরতসহ অর্থ আত্মসাতকারী শুকলা রানী ও তার স্বামীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানাই।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত