মোংলায় অপহরন মামলার আসামী আটক

মোংলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:৪৮ পিএম, শনিবার, ১৫ আগস্ট ২০২০ | ৬২৪

প্রতিকী ছবি

মোংলায় প্রেম করে গোপনে বিয়ে করায় অপহরন মামলায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে এক যুবক। উপজেলার বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের দিপংকর বাওয়ালীর করা মামলায় গ্রেফতার হয় একই এলাকার মুজাহিদুল ইসলাম। শনিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে এ মামলায় ৩ আসামীর মধ্যে একজন আটক হলেও বাকি দুজনকে গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে বলে জানায় পুলিশ।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, বুড়িরডাঙ্গা এলাকার দিপংকর বাওয়ালীর কলেজ পড়–য়া কন্যা দিগরাজ কলেজের একাদশ শ্রেনির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। স্কুল জীবন থেকেই প্রতিবেশী মুজাহিদুল ইসলামের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এ সুবাদে তাদের বাড়ীতেও আসা যাওয়া করতো কলেজ পড়–য়া কন্যা। তবে কলেজে যাওয়ার পথে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতো মোজাহিদ।

ব্যাপারে মুজাহিদের মা বাবাকে বহুবার এঘটনা অবহিত করলেও কোন প্রতিকার পাইনী ভুক্তভোগী ওই পরিবারটি। গত ২০ জুন সকাল ৬টার দিকে কলেজ পড়–য়া কন্যা ঘোরাফেরা করার উদ্দেশ্যে বাড়ীর সামনের রাস্তায় বের হলে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা মুজাহিদুল ইসলাম, বাবা অহিদ শেখ ও আসমা বেগমসহ অন্যান্যদের সহায়তায় জোর পুর্বক মটরসাইকেল যোগে অপহরন করে নিয়ে আটকে রাখে বলে মামলায় উল্লেখ করে।

পরে মেয়ের বাবা দিপংকর বাওয়ালীর আসামী মুজাহিদুল ইসলামের বাবা-মা ও আত্বীয়দের কাছে মেয়েকে ফেরত চাইলে তারা দির্ঘদিন যাবৎ মেয়েকে ফেরত দিবে বলে বার বার সময় নিয়া কাল ক্ষেপন করে। কিছুদিন যাওয়ার পরে মেয়েকে ফেরত না দিয়ে বিভিন্ন ধরনের টাল বাহানা মুলক কথাবার্তা বলে এবং লোকজনের মাধ্যমে তাদের হুমকি ধামকি দেয় বেেলও মামলার এজাহারে উল্লেখ করে দিপংকর বাওয়ালী। এব্যাপারে বহুদিন অপেক্ষার পরেও মেয়েকে ফেরত না পেয়ে ১১ আগষ্ট দিপংকর বাওয়ালী বাদি হয়ে মুজাহিদুল ইসলাম (২০), বাবা অহিদ শেখ (৫০ ও মা আসমা বেগম (৪৫) কে আসামী করে মোংলা থানায় নারী নির্যাতন ও অপহরন মামলা দায়ের করেন।

এব্যাপারে মুজাহিদুল ইসলামের পিতা অহিদ শেখ জানায়, দিপংকরের মেয়ে তার ছেলে মুজাহিদের সাথে স্কুল জীবন থেকে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। চলতি বছরের ১৩ ফেব্রয়ারী তার মেয়ে সেচ্ছায় আমার ছেলের সাথে চট্ট্রগ্রামে আমাদের কাছে চলে যায়। সে সময় মেয়ের বাবা ও মাকে খবর দিয়ে তাদের কাছে ফেরত দেয় এবং তারা একটি অঙ্গিকার নামা দিয়ে মেয়েকে নিয়ে চলে আসে। পরে বহুবার ছেলে মুজাহিদের সাথে যাওয়ার চেষ্টা করলে তার অভিভাবকদের জানানো হয়েছে। শেষে ২০ জুন মেয়ের নিজের ইচ্ছায় চট্ট্রগ্রামে চলে আসে এবং কাগজ পত্রের মাধ্যমে ধর্মান্তরিত হয়ে বিয়ে করে তারা।

মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী জানায়, ১১ আগস্ট একটি অপহরন মামলার সুত্রধরে তিন জনের মধ্যে প্রধান আসামী মোজাহিদুল ইসলামকে চট্ট্রাগ্রাম থেকে আটক করা হয়। তাকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানায় পুলিশের এ কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত