৬০টাকার কাঁচামরিচ ২০০ টাকা!

আপডেট : ০৯:১৭ পিএম, মঙ্গলবার, ৩০ জুন ২০২০ | ৮৯৬

বাগেরহাটের শরণখোলায় এক সপ্তাহর ব্যবধানে ৬০টাকা থেকে লাফিয়ে ২০০টাকায় উঠে গেছে কাঁচামরিচের দাম। উপজেলার গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারে আরো বেশি দামে বিক্রির খবর পাওয়া গেছে। অন্যান্য তরিতরকারির দামও বেড়েছে কেজিতে ১৫-২০টাকা করে। এ অবস্থায় নাভিশ্বার উঠেছে জনমেন।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর রায়েন্দা বাজার, পাঁচরাস্তা বাদল চত্বর ও রাজৈর খেয়াঘাট কঁচাবাজার ঘুরে দামের এমন তারতম্য দেখা গেছে। গত সপ্তাহের ৫০টাকার করোলা এখন ৭০টাকা, কাঁকরোল ৪০টাকা থেকে ৬০টাকা, পটোল ৩০টাকা থেকে ৫০টাকা, ধুনদল ৩৫টাকা থেকে ৫০টাকা, আলু ২০টাকা থেকে ৩৫টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

হঠাৎ দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে কাঁচামাল ব্যবসায়ী মো. বাদল, শহিদুল খান, বাবুল হাওলাদা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, আগে স্থানীয় এবং পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া ও মাঝের চরের চাষীদের উৎপাদিত কঁচা মরিচসহ বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি পাইকারী কিনে বিক্রি করা হতো। বন্যা ও অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষেতে পানিজমে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় এখন ওইসব এলাকা থেকে কাঁচামাল আসছে না। যার ফলে খুলনা থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে এসব পণ্য। একারণে বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।

স্থানীয় গণমাধ্যকর্মী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম আকন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, তরিতরকারির দাম বেড়ে নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তিনি মঙ্গলবার সকালে রায়েন্দা কাঁচাবাজার থেকে ১০০গ্রাম কাঁচামরিচ ২০টাকায়, এক কেজি কাঁকরোল ৬০টাকায়, ধুনদল ৬০টাকায়, করোলা ৭০টকায় কিনেছেন। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধিতে তিনি অবাক হয়েছেন।

শরণখোলার কাাঁচামালের পাইকারী ব্যবসায়ী মো. বাচ্চু হাওলাদার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, খুলনার মোকমেও সব মালের দাম বৃদ্ধি। এক সপ্তাহ আগে যে দামে কুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছি সেই দামে এখন পাইকারী কিনতে হচ্ছে। যে কারণে খুচরা বাজারে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত