মোরেলগঞ্জে পানগুছি নদীতে ডুবে যাওয়া

আজো সন্ধান মেলেনি যুবলীগ নেতার

মোরেলগঞ্জ সংবাদদাতা

আপডেট : ১০:৪৯ পিএম, সোমবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৭ | ৭১৯

মোরেলগঞ্জে দুবৃর্ত্তদের মারপিট ও ছুরিকাঘাতের পর পানগুছি নদীতে ফেলে দেয়া খুলনা সিটি কর্পোরেশন ২০ নং ওয়ার্ড যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক খায়রুজ্জামান সবুজ(৩২)কে ৪২ ঘন্টা পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এদিকে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিট সোমবার থেকে পুনরায় তাকে উদ্ধারের জন্য নদীতে টহল শুরু করেছে।


মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ষ্টেশন কর্মকর্তা হায়দার আলী আকন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, সকাল ৮ থেকে মাগরিব পর্যন্ত তাদের ইউনিট পানগুছি নদীতে লাশের সন্ধান করে ফিরেছে। কিন্তু কোন লাশের সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যা নামার কারনে তাদের অনুসন্ধান কাজ আপাততঃ বন্ধ রাখা হয়েছে। লাশের সন্ধান না মিললে মঙ্গলবার সকালে আবার তারা কাজ শুরু করবে। লাশের সন্ধানে তাদের সাথে নিখোঁজ পিতৃ মাতৃহীন সবুজের মামা সহ নিকটাত্মীয় স্বজন ছিল। লাশ না পাওয়ায় সবুজের আত্মীয় স্বজন হতাশায় মুছড়ে পড়েছে।


২৩ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে ফেলে দেয়া খুলনা কেডিএ’র সার্ভেয়ার সামছুল আরেফিন রনিকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তার সঙ্গী খুলনার যুবলীগ নেতা খায়রুজ্জামান সবুজ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। হাসান নামের জনৈক ব্যাক্তি একটি বহুতল ভবনের ডিজাইন করার জন্য খুলনা কেডিএ’র ইঞ্জিনিয়ার সামছুল আরেফিন রনিকে (৩৫ ) মোরেলগঞ্জে নিয়ে আসে।


এসময় তার সাথে বন্ধু খুলনা সিটি কর্পোরেশন ২০ নং ওয়ার্ড যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক খায়রুজ্জামান সবুজ(৩২)কে নিয়ে আসে। তাদেরকে ট্রলার যোগে ছোলমবাড়িয়া বাস ষ্ট্যান্ড থেকে সন্ন্যাসীর দিকে রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে ট্রলার গাবতলা নদীতে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হাসানের নেতৃত্বে ট্রলারে থাকা আরো ৭ জন দুজনকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে নদীতে ফেলে দেয় । এসময় রনির চিৎকারে গাবতলা এলাকার ট্রলার চালকরা রনিকে উদ্ধার করতে পারলেও তার বন্ধু সবুজকে পাওয়া যায়নি।


পানগুছি নদী থেকে সামছুল আরেফিন রনি উদ্ধার এবং ট্রলারের অপর দুর্বৃত্তদের ইন্দুরকানী থানা পুলিশ আটক করতে সক্ষম হলেও এ ঘটনার প্রকৃত রহস্য এখনো অন্ধকারে রয়ে গেছে বলে অনেকের ধারনা। এ ঘটনাটি পরিকল্পিত নাকি অন্য কিছু তা জানতে চায় নিখোঁজ সবুজের আত্মীয় স্বজন।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত