শরণখোলায় লাঠির আঘাতের দুদিন পর মারা গেলেন কৃষক

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৮:৪৬ পিএম, রোববার, ১০ মে ২০২০ | ৮১৫

খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে দুদিন পর বাড়ি ফেরার পথে মারা গেলেন প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে আহত কৃষক শাহ্আলম খন্দকার (৬০)। রবিবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার আমড়াগাছিয়া এলাকায় পৌঁছালে এ্যাম্বুলেন্সে তিনি ফের অসুস্থ হয়ে পড়লে শরণখোলা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্য চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। শুক্রবার সকালে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামে প্রতিবেশীদের হামলায় গুরুতর আহত হন তিনি।

পুলিশ এদিন সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ওই কৃষকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ময়না তদন্তের জন্য সোমবার সকালে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহতের জামাতা মো. আল-আমীন আকন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, চলাচলের যৌথ পথ নিয়ে প্রতিবেশী আ. মজিদ খন্দকারের ছেলে দুলাল খন্দকার (৪৫) ও শাহজাহান খন্দকারের (৪০) সাথে তার শ্বশুরের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। ঘটনার দিন সকাল ১০টার দিকে এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে প্রতিপক্ষরা শাহ আলম খন্দকারকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এতে মাথায় গুরুতর জখম হয়।

এসময় তার স্ত্রী শাহিদা বেগম (৫০) ও মেয়ে শারমিন আক্তার (২৪) বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে তারা। তাদেরকে শরণখোলা হাসপাতালে নেওয়া হলে গুরুতর আহত শাহআলম খন্দকারকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দুদিন চিকিৎসা নেওয়ার পর মোটামুটি সুস্থ হলে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তÍু বাড়ি আসার পথে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত শরণখোলা হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এব্যাপারে শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত