চিতলমারীর পাকা ধান রক্ষার্থে মাঠ পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:৩৫ পিএম, সোমবার, ৪ মে ২০২০ | ৯৬০

চিতলমারীতে বৃষ্টি-জলাবদ্ধতায় পাকা বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে! এই খবর পেয়ে পাকা ধান রক্ষার্থে রবিবার বিকেলে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ ও পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় ছুটে এসেছিলেন চিতলমারী উপজেলার দুর্গম গ্রামগুলোতে। ত্রিমুখি সমস্যা সেখানে-মাঠে পাকা ধান, বর্ষাকাল আসন্ন এবং নদী-খাল খনন ও স্লুইচগেট নির্মাণাধীন রয়েছে।

এজন্য তাঁরা সদর ইউনিয়নের রায়গ্রাম, খিলিগাতী, ডুমুরিয়াসহ কয়েকটি গ্রামের ধান ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এসময় তাঁরা কৃষকসহ স্থানীয় বাসিন্দা, জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলেন। কৃষক যাতে সঠিকভাবে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারে সে বিষয়ে তাঁরা পরামর্শ দেন জেলা প্রশাসক এলাকা পরিদর্শনের পর সোমবার থেকে বাধ অপসরনের কাজ শুরু হয়েছে।


চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: মারুফুল আলম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, একদিকে বোরো ধান পেকেছে। অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খাল খনন ও স্লুইচগেট নির্মাণ কাজের জন্য মাঠের সাথে সংযোগ খালগুলোতে বাধ দেয়া রয়েছে। এই অবস্থায় বৃষ্টি হলে পাকা ধান ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশংকা রয়েছে। বিষয়টি জেনে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আজ এলাকা পরিদর্শন করেন।


রায়গ্রাম স্লুইচগেট এলাকা পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মোঃ মামুনুর রশীদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘আমরা জেনেছি এখানে তিন হাজার হেক্টর জমিতে যে পাকা বোরো ধান আছে, তা বৃষ্টি হলে পানি জমে নষ্ট হতে পারে। কোন অবস্থাতে যাতে কৃষকের কষ্টার্জিত ফসল বিনষ্ট না হয়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’


পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ‘মাঠে পাকা ধান। বর্ষা কাল আসন্ন। নদী খনন কাজও চলছে। কৃষক যাতে ফসল সঠিকভাবে ঘরে তুলতে পারে, সে ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সবাই কৃষকদের সাহায্য করবো।’


এসময় উপস্থিত ছিলেন, চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মারুফুল আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পীযূষ কান্তি রায় প্রমূখ।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত