কচুয়ায় কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা-কর্মীরা

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৩:৩৪ পিএম, সোমবার, ২০ এপ্রিল ২০২০ | ৭৪২

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার কৃষকদের পাশে দাড়ালো সুরক্ষিত কচুয়া কমিটি। এই কমিটির উদ্যোগে উপজেলার গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষীদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতা-কর্মীরা। সোমবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ২০ জনের একটি দল উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের কাকার বিলের তিনজন কৃষকের পাকা ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়।

এসময়, কচুয়া উপজেলা যুবলীগের সদস্য সরদার আক্তারুজ্জামান অনু, জেলা ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি শাহরিয়ার রহমান রাসেল, যুবলীগ নেতা সোয়েব ইসলামসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক চাষীর ধান কেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা। এদিকে দেশের এই সংকটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরা।

কৃষক মনিরুল ইসলাম ও বাবুল মোল্লা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ধান কাটার সময় চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ করে সুরক্ষিত কচুয়া কমিটির উদ্যোগে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকমীরা ধান কেটে দেওয়ার কথা বলেন। সকালে এসেই ধান কাটা শুরু করেন। আমি খুবই আনন্দিত। আগে কখনও এভাবে দেখেনি।

ধান কাটতে আসা যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতারা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জাতি এক ধরণের কান্তিকাল পার করছেন। এই পরিস্থিতিতে মাঠের বেশিরভাগ কৃষকের ধান পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটে চাষীরা ধান কেটে ঘরে ওঠাতে পারছেন না। তাই আমাদের সংসদ সদস্য শেখ তম্ময় ভাইয়ের নির্দেশনায় দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষীদের পাকা ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এটা চলমান থাকবে।

সুরক্ষিত কচুয়ার প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তম্ময়ের নির্দেশে কচুয়া উপজেলার যেসব কৃষকরা ধান কাটতে শ্রমিক সংকটে ভুগছেন আমরা তাদের তালিকা করেছি। সকালে তালিকা অনুযায়ী ছাত্র লীগ ও যুবলীগের নেতা কর্মীরা অর্থ্যাৎ সুরক্ষিত কচুয়া কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা ধান কাটা শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল অসহায় ও বর্গা চাষীর ধান স্বেচ্ছাসেবকরা কেটে দিতে প্রস্তুত রয়েছে।

বাগেরহাট কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রঘুনাথ কর বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, বাগেরহাট জেলায় এবছর ৫২ হাজার ৯৩০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ২ লাখ ৪৩ হাজার মেট্রিকটন ধান। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে অনেক কৃষকরা পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ছে। আমরা দেখছি অনেক সংগঠন কৃষকদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছে বিনামূল্যে। কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর থেকেও কৃষকদের পাকা ধান ঘরে তুলতে লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হচ্ছে। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে কৃষকদের কষ্ট লাঘব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত