চুলকাঠি বণিকপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির

সমাপ্তির পথে প্রতিমা নির্মাণের কাজ

চুলকাঠি সংবাদদাতা

আপডেট : ০২:৪৪ পিএম, রোববার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | ১৮৭৩

চুলকাঠি বণিকপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দির

বাগেরহাটের চুলকাঠি বণিকপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরের প্রতিমা নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। এর পাশাপাশি চলছে প্যান্ডেল নির্মাণ ও শোভা বর্ধনের প্রস্তুতি। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও দণিাঞ্চলের আকর্ষনীয় পুজা এখানে উদযাপিত হবে।

বাগেরহাট সদর উপজেলার চুলকাঠি বণিকপাড়া সার্বজনীন দূর্গা মন্দিরটি বাজারের কাছে অবস্থিত। যাতায়াতের সু-ব্যবস্থা রয়েছে, যার কারনে বিভিন্ন দুর-দুরান্ত হতে হাজার হাজার লোকের আগমনে মন্দির প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে প্রাণবন্ত ও উৎসব মুখর।

অতি অল্প দিনেই বাগেরহাট সদর উপজেলার সর্ববৃহৎ দুর্গা মন্দির হিসাবে সু-খ্যাতি লাভ করে। এ বছর মন্দিরে নির্মানাধীন বিভিন্ন প্রতিমার সংখ্যা ১২১ টি। মন্দির কর্তৃপরে বিশাল আয়োজনে চুলকাঠিসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা এ মন্দিরের ধুলা না নিলে যেন তাদের ইচ্ছা অপূর্ণ থেকে যায়।

পূজা উপলে চুলকাঠি বাজার গেটসহ মন্দির পর্যন্ত মাত্র ২০০ মিটার দীর্ঘ পথে ৪ টি তোরণ তৈরি করা হবে এবং প্রত্যেক তোরণে অনেক পূর্ব থেকে আলোক সজ্জা করা হবে বলে জানান কর্তৃপক্ষ। মন্দির প্রাঙ্গনে গিয়ে দেখা যায়, সাতক্ষিরা গনেশ কুমার সরকার তার লোকজন নিয়ে নিখুঁত তুলির আচড়ে নিজের মেধা ও প্রজ্ঞা দিয়ে ভাস্কর্যের কাজ করে চলেছেন আপন গতিতে।

প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও প্রতিমার বৈচিত্রতায় দূর্গামন্দিরের আকর্ষন ধরে রাখার প্রত্যাশা করেন তিনি। রামায়ন-মহাভারতের অনেক দৃশ্য প্রতিমার মাধ্যমে তিনি তার তুলি দ্বারা জীবন্ত করে তুলছেন। মন্দিরের দুই পাশে রয়েছে প্রায় অর্ধ-শত প্রতিমা। বিশেষ প্রতিমার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রী কৃষ্ণের দোলায় দোল । এছাড়া অন্যান্য প্রতিমার মধ্যে রয়েছে বুড়িমার তিলকের ফোটা। বুড়িমা তিলকের বাটি হাতে নিয়ে দুরে দাড়িয়ে আছে।

মন্দিরের সার্বক্ষনিক দায়িত্বে নিয়োজিত কমলেশ কুমার সাধু বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, এ বছরের অধিকাংশ প্রতিমা আধুনিক অর্থাৎ ডিজিটাল করা হবে। সাজ-সজ্জা অন্যান্য বছরের চেয়ে আরও বেশি করার ইচ্ছা রয়েছে। মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমার কাজ ৩/৪ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হবে। আর পূজা শুরুর সপ্তাহ খানেক আগে সাজ-সজ্জার কাজও শেষ হবে।

এ বছর মন্দিরের আয়োজন সম্পর্কে মন্দির কমিটির সভাপতি দীপঙ্কর সাধু ও সাধারণ সম্পাদক বাবলু কুমার পাল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, যানজট নিরসনে এলাকার লোকজনদের সম্পৃক্ত করে স্বেচ্ছাসেবক গঠন করা হয়েছে। প্রশাসনকে অবহিত করা হবে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর তাদের আয়োজন অনেক বড়। তারা দণিাঞ্চলের জনপ্রিয় ও আকর্ষনীয় দুর্গা মন্দির হিসাবে এবছর এর সু-খ্যাতি পাবার প্রত্যাশা করেন পূজা কমিটি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত