আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে গ্রামে গ্রামে চলছে মাইকিং

বুলবুল মোকাবেলায় প্রস্তুত বাগেরহাট জেলা প্রশাসন

স্টাফ রিপোর্টার

আপডেট : ০৫:৪৫ পিএম, শনিবার, ৯ নভেম্বর ২০১৯ | ৭৩৬

বুলবুল‘র প্রভাবে বাগেরহাট, বরগুনা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, খুলনাসহ কয়েকটি জেলায় ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই ঘোষনার পর থেকে জেলার শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলা,কচুয়া উপজেলার গ্রামে গ্রামে মাইকিং করছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির লোকজন। এর পাশাপাশি বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ৬টি ইউনিট বিভিন্ন এলাকায় লোকজনদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য মাইকিং করছেন। পুলিশও রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জানার পর সামান্য কিছু মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছে। বেশিরভাগই অপেক্ষা করছে, চরম পর্যায়ের জন্য। এছাড়া বুলবুল‘র খবরে সাগরে থাকা মাছধরা ট্রলার ও নৌকা তীরে নিরাপদ আশ্রয় নিয়েছে। তবে এখনও নদীতে এখনও অনেক নৌকা ও ট্রলারকে মাছ ধরতে দেখা গেছে। এদিকে বুলবুল‘র মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।

শনিবার সকালে বাগেরহাট দড়াটানা নদী সংলগ্ন দড়াটানা নদীতে দেখা যায় প্রায় দুই শতাধিক মাছ ধরা ট্রলার সমুদ্র থেকে ফিরে এসেছে। ট্রলারে থাকা জেলেরা বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, বুলবুল‘র খবর পেয়ে তরিঘরি করে চলে এসেছে। সাগরে প্রচুর মাছ ছিল। তারপরও প্রাণ বাঁচাতে চলে এসেছি। তবে এখনও অনেক জেলে সাগরে রয়েছে। আসলে বঙ্গপসাগর থেকে ঈচ্ছে করলেই চলে আসা যায় না। আসতে অনেক সময় লাগে বলে জানান তারা।

শরণখোলার দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির আমিনুল খান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ১০ নম্বর মহা বিপদ সংকেত জানার পর থেকে আমরা এলাকায় মাইকিং করছি। যাতে মানুষ দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যায় সে জন্য বলছি।


বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মাসুদ সরদার বলেন, বুলবুল‘র প্রভাব মানুষকে জানিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আমাদের ৬টি টিম বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করছে। এছাড়া জেলার ৫টি স্টেশনে ৮টি টিম প্রস্তুত রয়েছে। পার্শ¦বর্তী জেলাতে ও কথা বলা আছে প্রয়োজনে সেখান থেকে কিছু ইউনিট বাগেরহাটের জন্য আনা হবে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কামরুল ইসলাম বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সকল কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে ত্রিশ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি খাবারের আরও প্যাকেট তৈরির ব্যবস্থা চলছে। দূর্যোগের সময় চিড়া যেহেতু বেশি প্রয়োজন হয়, তাই আমরা বাজারে কয়েকটি চিরা কলকে তৈরি রেখেছি যাতে প্রয়োজন হলে তারা আমাদেরকে চিড়া সরবরাহ করতে পারেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলা ও প্রশাসন ও জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম দূর্যোগের অধিক ঝুকিপূর্ন উপজেলা শরণখোলা, মোরেলগঞ্জ ও মোংলাতে অবস্থান করছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত