বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে

রামপালে জাল সনদে চাকুরীর অভিযোগ

এম এ সবুর রানা, রামপাল

আপডেট : ০৩:৩৮ পিএম, সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | ৫৫৪

রামপালে মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর জাল সনদে তালবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী নিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ওই দপ্তরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন। চাকুরী বাঁচাতে ওই দপ্তরী দৌড় ঝাপ শুরু করেছে।

অভিযোগ ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের নোটিশের প্রেক্ষিতে জানাগেছে, উপজেলার তালবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী ফরিদ আকুঞ্জীকে গত ০১/০১/২০১৩ তারিখ ইসলামাবাদ সিদ্দিকিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা থেকে ওই মাদরাসার করণিক গাজী লিয়াকত হোসেনের মাধ্যমে একটি জাল সনদ তৈরী করে ওই সনদে একই বছর ওই বিদ্যালয়ে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী নেয়। গত ইং ০২/০৯/২০১৯ তারিখ একই এলাকার জনৈক প্রতিবন্ধি কিশোরকে ওই বিদ্যালয়ের ছাদে নিয়ে বলাৎকার করে দপ্তরী ফরিদ। এঘটনায় বাগেরহাটের বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের পরিবার। এরপর জাল সনদে দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরীর বিষয়টি ধরা পড়লে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জাল সনদটি বাতিল বলে ঘোষনা করেন এবং ফরিদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।

মাদরাসার অধ্যক্ষ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, উক্ত ফরিদ গত ইং ০১/০১/১৯৯৯ সালে ওই মাদরাসা থেকে দাখিল পাশ করেন। মাদরাসা রেকর্ড অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৮৩ যা পরবর্তীতে অনৈতিক ভাবে সংশোধন করে বয়স কমিয়ে চাকুরীর স্বার্থে ০১/০১/১৯৮৬ তারিখ তৈরী করার ও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে ওই মাদরাসার সদ্য অবসরপ্রাপ্ত করণিক গাজী লিয়াকত হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এবিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

অভিযুক্ত ফরিদ আকুঞ্জীর কাছে জানতে চাইলে তিনি সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন। এবিষয়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ মোঃ মকবুল হোসেন খান এর দৃষ্টি আকর্ষন করলে তিনি সনদ জালের বিষয়টি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে নিশ্চিত করেন।

অভিযোগের বিষয়ে প্রধান শিক্ষক হাসমা খানম কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মতিউর রহমান বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, তদন্ত চলছে। জাল জালিয়াতি ও অনৈতিক কর্মকান্ডের বিষয়ে তদন্ত করে প্রমান পাওয়া গেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত