চিতলমারীতে ইজারা আদায়ের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়

চিতলমারী প্রতিনিধি

আপডেট : ০৫:১২ পিএম, শনিবার, ২২ জুন ২০১৯ | ৫৯২

‘চিতলমারীর হাটে খাজনার নামে যে চাঁদাবাজি চলে, এটা নতুন কিছু না। বিগত বছর গুলোতেও, অর্থাৎ আজ থেকে দশ বছর আগেও আমরা এই একই চিত্র দেখেছি। আজকে মাছের আড়তের যে ভদ্রলোকেরা বলেছেন খাজনার নামে চাঁদাবাজি অথচ উনারাই একদিন এই একই জিনিস করছেন। আজ ওনাদের বুঝে আসছে এটা খাজনার নামে চাঁদাবাজি, াবৎু মড়ড়ফ। আমরাও চাই এই চাঁদাবাজি বন্ধ হোক। সর্বোপরি একটা কথা হচ্ছে, আজ তুমি মতা পেয়ে মতাশালী হয়ে অপব্যবহার করবা, কাল অন্যকেউ মতাবান হয়ে তোমার উপর প্রয়োগ কেন করবেনা (মতা, পেশিশক্তি চিরস্থায়ী নয়)। বিগত বছর গুলোতে আমি নিজ চোঁখে দেখেছি কাঁচামালের গালায় ইজারাদারের অত্যাচার। কেননা আমি নিজেও কাঁচামালের ব্যবসা করছি কয়েক বছর। কাঁচামালের ব্যবসাটা এমন একটা ব্যবসা যেটা একজন ল টাকার আড়ৎতদারও করে। আবার একজন দুই হাজার টাকার ছোট্ট ব্যাপারিও করে। চিতলমারীতে অনেক দূর-দূরান্তর ব্যাপরিরা, আড়তদাররা আসতো মালামাল কিনতে, এখন আসে কিনা জানিনা। তো তারা মালামাল কেনার পর তাদের গুনতে হত খাজনার নামে চাঁদা। শুধু তাই নয়, অনেক সময় আমি দেখেছি যখন টাকা দিতে দেরি হয়েছে বা দরকষাকষি করতে গেছে, তখনই চড়-থাপ্পড় বা গালিগালাজ চলছে তাদের উপর। স্বাভাবিক ভাবেই একজন ছোট ব্যবসায়ী ২ হাজার টাকার মালামাল কেনার পর যদি ১ হাজার বা ৫০০ টাকা খাজনা (চাঁদা) দাবি করা হয়। সে তো দর কষাকষি করবেন। আর করলেই চড়-থাপ্পড়ের সাথে গালিগালাজ ফ্রি। চিতলমারীর হাঁটের প্রতেকটা সেকশন তথা গরুর হাট, বাঁশ হাট, মাছ হাট ও অন্যান্য হাট সব খানেই এই একই চিত্র। মরতে মরতে কৃষক ও চাষীরাই মরে। কেননা ব্যবসায়ী, ব্যপারি বা আড়তদার যে টাকাটা খাজনা বা চাঁদা নেয় সেটা পরভাবে কৃষককেই গুনতে হয়। এর থেকে মুক্তি দিতে পারে একমাত্র সাংসদ হেলাল উদ্দিন সাহেব অথবা হাট কমিটি।’- জনৈক জুয়েল ফয়সাল নামের এক ব্যাক্তি তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব কথা লিখেছেন।


শুক্রবার বিভিন্ন পত্রিকায় ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কলা-কচু ব্যবসায়ীরও রক্ষা নেই ॥ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা, চিতলমারীর হাট-বাজারে ইজারার নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর তিনি এভাবে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেন।

গত বুধবার ইজারাদারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে নানা অভিযোগ তুলে ধরে জনসাধারনের পক্ষে মোঃ মতিয়ার রহমান শেখ নামের এক ব্যাবসায়ী জেলা প্রশাসকসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয় প্রকৃত সাংবাদিকরা সেই অভিযোগ গুলো বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন। আর এর পর থেকেই সংবাদটি ফেসবুকে ভাইরাল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত