সুন্দরবন ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড প্রাঃ হাসপাতালটি
রামপালে সিলগালা না করে জরিমানা করায় এলাকাবাসীর ক্ষোভ
আপডেট : ০৪:১৮ পিএম, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০১৯ | ৬৭৩
রামপালে বহুল আলোচিত অনুমোদনহীন সুন্দরবন ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতাল কর্তৃপরে বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইনে একল টাকা জরিমানা করার ঘটনায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোর ডটকম সহ বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে । বৃহস্পতিবার বিকালে হাসপাতালের কপসেবল গেট বন্ধ করে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ওই প্রতিষ্ঠান সিলগালা না করে শুধুমাত্র জরিমানা করায় জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
জানাগেছে বিতর্কিত ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালটি অনুমোদ বিহীনভাবে দীর্ঘ ৩ বছর ধরে অবৈধভাবে অদৃশ্য শক্তির বলে তারা তাদের হাসপাতাল পরিচালনা করে আসছে। বারবার ভুল চিকিৎসা,অপচিকিৎসা ও ভুয়া চিকিৎসক দ্বারা প্রসূতি নবজাতক ও অন্যান্য বেশ কয়েকটি রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপ দীর্ঘদিন ধরে ছিল নির্বিকার। দীর্ঘসময় ওই অবৈধ হাসপালের কপসেবল গেট বন্ধ রেখে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী ম্যাজিষ্টেটের নিকট সাংবাদিকরা হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার জন্য তিনবার অনুমতি চাইলেও অনুমতি না পাওয়া ও হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এসে শুধুমাত্র প্রেসকাব সভাপতিকে খোজায় উপস্থিত সাংবাদিকরা হতভম্ভ হয়ে পড়েন।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তুষার কুমার পাল বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, হাসপাতালের কিছু কাগজপত্র থাকলেও অনেক কাগজপত্র নেই। এরপর ও হাসপাতালটি সিলগালা করার বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, একটা সময় সীমা বেধে দিয়েছি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাগজপত্র ঠিক না করলে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিবো। হাসপাতাল পরিচালনা করা কালিন সময়ে পরিচালন নাজমুল হোসেন উপস্থিত থাকলেও অন্য দুই পরিচালক জুলফিকার আলী ও হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের দেখে দ্রুত পালিয়ে যান। উল্লেখ্য ওই সুন্দরবন ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড প্রাইভেট হাসপাতালের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোর ডটকম এ ধারাবাহিকভাবে সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছিল।