শরণখোলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

শরণখোলায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৪র্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে ৪র্থ শ্রেনীর ওই মাদ্রাসা ছাত্রী মাদ্রাসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর পিতা শরণখোলা উপজেলার মঠেরপাড় এলাকার বাসিন্দা প্রতিবন্ধী কবির হাওলাদার মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

লিখিত অভিযোগ তিনি বলেন, তার কন্যা ও আকন্দপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী (১১) কে উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের রাজৈর এলাকার বাসিন্দা মৃত: আব্দুর রাজ্জাক মাস্টারের ছেলে ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মোঃ মোতাসিম বিল্লাহ মাশুক দীর্ঘদিন ধরে উত্যাক্ত করে আসছিল। তারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯ এপ্রিল মাদ্রাসা চলাকালে সকাল অনুমান ১১টায় ওই ছাত্রীকে শ্রেণি কক্ষে একা পেয়ে মাশুক তার সাথে অশোভনীয় আচরণ করেন। পরে বাড়িতে এসে মাশুকের দুব্যবহারের বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারে সদস্যদেরকে অবহিত করেন এবং মাদ্রাসায় যেতে অনীহা প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে মেয়ের সাথে খারাপ আচরণকারী ওই লম্পট শিক্ষকের বিচারের দাবীতে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ বিভিন্ন মহলে বিচারের দাবীতে আবেদন করেন কবির। সে সময় বিষয়টি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য মাদ্রাসার সুপার মাওলানা ছিদ্দিকুর রহমান কিছু টাকা পয়সার বিনিময়ে ঘটনাটি চেপে যাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী কবির কে নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করেন।

অপরদিকে, মাশুকের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা মোঃ হাসিব বিল্লাহ তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য কবিরকে নানাভাবে হুমকী দেয়। মেয়ের সাথে খারাপ আচরণের বিচার চাইতে গিয়ে বিভিন্ন মহলে ধর্না দিলেও এ পর্যন্ত বিচার না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন কবির। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সুপার ছিদ্দিকুর রহমান ও যুবলীগ নেতা হাসিব বিল্লাহ তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবী করেন।

আকন্দপাড়া দাখিল মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে জানান, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শীঘ্রই কমিটির জরুরী সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এ বিষয়ে মোতাসিম বিল্লাহ মাশুক বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, ওই ছাত্রীকে তিনি চেনেন না। সমাজে তার মান সম্মান নষ্ট করতে একটি স্বার্থনেস্বী মহল গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বলে দাবী করেন।