‘ফণী’র প্রভাবে সাত নম্বর বিপদ সংকেত চলছে

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ০৩:০৭ পিএম, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০১৯ | ৯২৪

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সাত নম্বর বিপদ সংকেত চলছে। সংকেত যতো বাড়ছে উপকূলীয় বাগেরহাটের শরণখোলার মানুষ ততোই আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। যেনো ২০০৭ সালের সেই সুপার সাইকোন সিডরের ভয়াবহতার কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে তাদেরকে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন, সিপিপি, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি স্বেচ্ছ্বাসেবকদের সর্বত্র মাইকিং চলছে। মাইকিং শুনে উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সকালেই ছুটি দিয়েছে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান। সাইকোন শেল্টারে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেশ্বর তীরের বাসিন্দারা।

রায়েন্দা পূর্বমাথা এলাকার বলেশ্বর তীরের বাসিন্দা কাদের শেখ, নজরুল মীর, সুনীল ঋষি, সুজন ঋষি, ঝর্ণা রাণী বলেন, খন আমাদের সিডরের সেই প্রলয়ের কথা মনে পড়ে। সিডরের মতো যাতে আর জানমাল হারাতে না হয় সেজন্য মাইকিং শুনে আগে থেকেই আমরা সাইকোন শেল্টারে যাবার জন্য মালপত্র গোছগাছ করছি। সিপিপি’র সাত নম্বর ইউনিটের টিম লিডার মো. ওহিদুজ্জামান ডালিম বলেন, মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাইকিং করে সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলা হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন ছাড়াও চারটি ইউনিয়ন পরিষদ এবং রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকেও পৃথক কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে জরুরী মডেক্যাল টিম। উপজেলা প্রশাসন, ঘুর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীসহ (সিপিপি) বিভিন্ন এনজিও’র স্বেচ্ছ্বাসেকব দল প্রস্তুত, উপজেলার সকল সাইকোন শেল্টার, স্কুল কাম সাইকোন শেল্টার এবং বিদ্যালয় ভবনগুলো খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাতে শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি বিষয়ক এক জরুরী সভায় এসকল সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।


শরণখোলার অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত মোরেগঞ্জের ইউএনও মো. কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আকন। সভায় উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, এনজিও প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছ্বাসেবী সংগঠনের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শরণখোলার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সিপিপির সহকারী পরিচালক মো. আ. লতিফ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আমরা মাঠে রয়েছি। সর্বত্র মাইকিং চলছে। সিগনাল যদি ১০ নম্বর ঘোষনা হয় সবাই আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের প্রধান সমন্বয়কারী ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. নাসির আহমেদ বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সতর্কতা জারিসহ সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলার মোট ৮৬টি সাইকোন শেল্টার ও বিদ্যালয় ভবনগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরী প্রয়োজনে কন্ট্রল রুমের ০১৭৯১৫৯৪৬২৭ এবং ০১৭১৬৮৭৫০১০ নম্বরে যোগাযোগ করলে পরামর্শ দেওয়া হবে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত