শরণখোলায় ইউপি চেয়ারম্যানের রিরুদ্ধে শিক্ষক লাঞ্ছনার অভিযোগ

শরণখোলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৬:২৫ পিএম, বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৯ | ৯৩৩

শরণখোলায় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আলী আহম্মদ গাজী নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে লাঞ্ছিতের অভিযোগ করা হয়েছে। ওই শিক্ষক উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম দাখিল মাদরাসার সহকারী মৌলুভী পদে চাকরি করেন।

অভিযোগকারী মোরেলগঞ্জ উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের আমতলী গ্রামের মৃত হরমুজ গাজীর ছেলে আলী আহম্মদ গাজী লিখিত অভিযোগে জানান, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তিনি মাদরাসা থেকে বের হয়ে পাশ্ববর্তী একটি বাজারে যাচ্ছিলেন। এসময় খোন্তাকাটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদিন লোকজন নিয়ে তার গতিরোধ করে শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করেন। এবং তাকে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বলেন। চেয়ারম্যানের চরথাপ্পড়ে তার কানের পর্দা ফেটে গেছে। তাকে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি।

তবে, এব্যাপারে থানা পুলিশ কিছুই জানেনা। এমনকি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, উন্নত চিকিৎসার জন্য রেফার্ড করার বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার ও কিছু জানা নেই। অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও খোন্তাকাটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, আলী আহম্মদ গাজী নিষিদ্ধ ঘোষিত জামায়াতে ইসলামীর সক্রিয় কর্মী। তার কাছে বানিয়াখালী গ্রামের মেহেদী হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি আমার পরিষদে জমিজমা সংক্রান্ত পাওনা টাকার একটি অভিযোগ করেন। তাকে বহুবার বলা সত্বেও পরিষদের আসেননি। উল্টো পরিষদ ও আমাকে (চেয়ারম্যান) নিয়ে বিভিন্নরকম কটুক্তি করেন। একারণে ক্ষীপ্ত হয়ে আমার লোকেরা তাকে সামান্য দু-একটা চড় মেরেছে। এটাকে নিয়ে ওই জামায়াতী শিক্ষক অপপ্রচারে নেমেছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, আলী আহম্মদ গাজী দীর্ঘদিন ধরে গোপনে খোন্তাকাটার বিভিন্ন এলাকায় জামায়াতের সাংগঠনিক তৎপরতা চালিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধী কাদের মোল্লাসহ কেন্দ্রীয় জামায়াতের অন্যান্য নেতাদের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান করতে সংগঠনে চাঁদা দেওয়ার প্রমান রয়েছে। তাছাড়া তিনি জামায়াতে ইসলামী সংগঠনে নিয়মিত মাসিক চাঁদা দিয়ে থাকেন। এসব অভিযোগে গত ৩ ডিসেম্বর বাগেরহাটের ডিবি পুলিশ খোন্তাকাটায় তার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে আটক করেছিল। বর্তমানে আলী আহম্মদ গাজী শরণখোলার কতিপয় আওয়ামী লীগ নেতার ছত্রছায়ায় থেকে বীর দর্পে চলাচল করছেন আর গোপনে জামায়াতের কার্যক্রম চালাচ্ছেন। জামায়াতের কার্যক্রম বন্ধ করতে বলায় তিনি আমার ওপর আগে থেকেই ক্ষীপ্ত।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অসীম কুমার সমদ্দার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, দুপুরে আলী আহম্মদ নামের এক মাদরাসা শিক্ষক কানে ব্যাথা পেয়েছেন বলে হাসপাতালের জরুরী বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে, তার কানের পর্দা ফাটেনি এবং তাকে কোথাও রেফার্ডও করা হয়নি। নিজে কোথাও গিয়ে ভর্তি হলে সেটা তার ব্যাপার।

শরণখোলা থানার ওসি দিলীপ কুমার সরকার বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, এ জাতীয় কোনো ঘটনা তার জানা নেই। থানায় কেউ অভিযোগ ও করতে আসেনি।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত