ইলিশ অবরোধ শেষ: রাত ১২টার থেকেই শুরু হবে জেলেদের সমুদ্র যাত্রা

২২দিন পর আবার সরব শরণখোলার মৎস্য পল্লী

শরণখোলা প্রতিনিধি

আপডেট : ০৭:১৭ পিএম, রোববার, ২৮ অক্টোবর ২০১৮ | ৯৯৬

২২দিন ধরে নিরব-নিস্তব্ধ বাগেরহাটের শরণখোলার মৎস্যপল্লী আবার সরব হয়ে উঠেছে। ইলিশ আহরণের নিষেধাজ্ঞার নির্ধারিত সময় আজ রবিবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এর পরই জেলেরা ছুঁটবেন সমুদ্রে। দীর্ঘ অবসর সময় পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে মাঝি-মাল্লারা ফিরে এসেছেন মহাজনদের আঁড়তে। ট্রলারে জ্বালানি তেল, বরফ, সরদ তুলে সবাই প্রস্ততি নিচ্ছেন সাগরে যাবার।


মৎস্য আঁড়ৎদার মো. জামাল হাওদারের মালিকানাধীন এফবি আল্লাহ মালিক-১ ট্রলারের মাঝি মো. মফিজুল ইসলাম। তাঁর বাড়ি ভোলার চরফেশন উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামে। তিনি জানান, অবরোধের আগের দিন ৬ অক্টোবর সাগর থেকে ফিরে আসেন তাঁরা। পরেরদিন বাড়িতে চলে যান। এই দীর্ঘ অবসর সময়টা তিনি পরিবারের সঙ্গেই কাটিয়েছেন। তাঁর ট্রলারে মোট ১৭জন জেলে। সবাই সাগরে যাওযার প্রস্তুতি নিয়ে মহাজনের আঁড়তে ফিরেছেন।


এফবি আজমির শরীফ ট্রলারের মালিক তহিদুল তালুকদার ও এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক মো. রুহুল আমীন চাপরাসি বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, অবরোধের সময়ের মধ্যে জাল, ট্রলার মেরামত করে সাগরে যাবার উপযুক্ত করে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অবরোধের সময় শেষ হলেই সাগরের উদ্দেশে রওনা হবে ট্র্রলারগুলো।


জাতীয় মৎস্য সমিতির শরণখোলা উপজেলা শাখার সভাপতি মৎস্য ব্যবসায়ী মো. আবুল হোসেন বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, শরণখোলার জেলে-মহাজনরা সরকারের নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করেছে। নিষেধাজ্ঞার মধ্যে কোনো জেলেকে নদী-সাগরে জাল ফেলতে দেখা যায়নি। এ উপজেলার সহ¯্রাধিক ফিশিং ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলার রাত ১২টার পর থেকেই সাগরে ছুঁটতে শুরু করবে।


উপজেলার জেষ্ঠ্য মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় বাগেরহাট টুয়েন্টি ফোরকে বলেন, দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবরোধের মধ্যে অসাধু জেলেদের ইলিশ শিকারের খবর পাওয়া গেলেও শরণখোলায় তার ব্যাতিক্রম। এখানকার কোনো জেলে নিষিদ্ধ সময়ে নদী-সাগরে জাল ফেলেনি। জেলে, মহাজনসহ সর্বস্তরের মানুষের আন্তরিক সহযোগীতায় এবারের অবরোধ সফল হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত