দ্বিতীয় বিবাহ করায় ছেলেদের হাতে  নৃশংস খুন হন মোহাম্মাদ খান!

মহিদুল ইসলাম, শরণখোলা

আপডেট : ১১:৪৮ পিএম, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ | ৬৯

দ্বিতীয় বিবাহই কাল হল মোহাম্মদ আলী খানের (৭৫)। অভিযোগ উঠেছে দ্বিতীয় বিবাহের চার দিনের মাথায় ছেলেদের হাতে খুন হয়েছেন এই বৃদ্ধ। বাড়ির সানইে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রাখার পর সেখানেই মারা যান তিনি। নৃশংস এই হত্যাকান্ডটি ঘটেছে শুক্রবার (১৯এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের পশ্চিম খোন্তাকাটা-ভারানীরপার গ্রামে।


ঘটনার পর থেকে নিহতের দুই ছেলে রফিকুল খান ও মোস্তাফিজ খান পলাতক রয়েছেন। খবর পেয়ে ওই রাতেই মোরেলগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) এস এম আশিকুর রহমান, শরণখোলা থানার ওসি এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন খান মহিউদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। লাশ উদ্ধার করে শনিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।


নিহতের ভাইয়ের ছেলে ইসমাইল খান জানান, তার চাচা মোহাম্মদ আলী খানের চার ছেলে ও দুই মেয়ে। তিনি বড় ছেলে মশিউর রহমানের সঙ্গে থাকতেন। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় চার দিন আগে (১৭ এপ্রিল) মাজু বেগম নামে পঞ্চাশোর্ধ এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এমনকি দ্বিতীয় স্ত্রীর নামে পাঁচ কাঠা জমিও লিখে দেন। এতে তার মেজো ছেলে রফিকুল ও সেজো ছেলে মোস্তাফিজ ক্ষীপ্ত হন। তারা বাবাকে হত্যারও হুমকি দেন। ঘটনার দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোহাম্মদ খান স্থানীয় ভারানীরপার বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি এলে তাকে কুপিয়ে ফেলে রাখা হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তার। ঘটনার পর থেকে দুই ছেলে রফিকুল ও মোস্তাফিজ পলাতক রয়েছেন।


স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান মিলন মাল জানান, মোহাম্মদ আলী খান তার নানা হন। তাকে বাড়ির সামনে কে বা কারা কুপিয়ে ফেলে রেখে গেছে এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ এসে মৃত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে। দ্বিতীয় বিয়ে এবং সেই স্ত্রীর নামে পাঁচ কাঠা জমি লিখে দেওয়ার বিষয়টি তার দুই ছেলে মেনে নিতে পারেননি। ঘটনার পর থেকে দুই ছেলে পলাতক থাকায় ধারণা করা হচ্ছে ছেলেদের হাতেই খুন হয়েছেন মোহাম্মদ খান।


শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান, মোহাম্মাদ আলী খান নামের এক বৃদ্ধের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে জানা গেছে চার দিন আগে তিনি দ্বিতীয় বিবাহ করেছেন। এতে ছেলেরা তার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। ঘটনার পর থেকে নিহতের দুই ছেলে রফিকুল ও মোস্তাফিজ পলাতক রয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তার দুই ছেলেই তাকে হত্যা করেছেন। ঘাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
  • নির্বাচিত